কোহর্টের অভিজ্ঞতা বিনিময় ও সমাপনী অনুষ্ঠান

0

শেষ হলো আনিসুল হক ফাউন্ডেশনের পৃষ্ঠপোষকতায় ৮ মাস মেয়াদী প্রকল্প ‘আনিসুল হক কোহর্ট ফর গ্রোথ অফ উইমেন অন্ট্রোপ্রেনিউরস’। নারী উদ্যোক্তাদের ব্যবসা বড় করার পরিকল্পনায় সহযোগিতা করতে উত্তর সিটি কর্পোরেশনের প্রয়াত মেয়র আনিসুল হক-এর নামে ‘আনিসুল হক কোহর্ট ফর গ্রোথ অফ উইমেন অন্ট্রোপ্রেনিউরস’ শীর্ষক প্রকল্পটি পরিচালনা করে বাংলাদেশ ওপেন সোর্স নেটওয়ার্কিং (বিডিওএসএন)।

প্রকল্পটি বাস্তবায়নে সহযোগিতা করেছে উদ্যোক্তাদের অনলাইনভিত্তিক প্ল্যাটফর্ম ‘চাকরি খুঁজব না চাকরি দেবো’।

নারী উদ্যোক্তাদের সক্ষমতা তৈরি, নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ, পরামর্শ প্রদান এবং স্থানীয় ও বৈশ্বিক বাজারের সাথে সংযোগের সুযোগ, প্রয়োজনীয় তথ্য ও গাইডলাইন, প্রোডাক্ট, মার্কেট ও আর্থিক ব্যবস্থাপনায় প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ প্রদানসহ বিভিন্ন কার্যক্রমের মাধ্যমে সারাদেশের মোট ৩৭ জন নারী উদ্যোক্তাকে সহযোগিতা প্রদান করেছে এই প্রকল্প।

শনিবার বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের ইসফেনদিয়ার জাহেদ হাসান মিলনায়তনে প্রকল্পটির সমাপনী অনুষ্ঠান হয়েছে। আয়োজনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আনিসুল হক ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ড. রুবানা হক।

তিনি বলেন “আজ প্রকল্পটি শেষ হলো, কিন্তু আমি বলবো আসল কাজ এখন শুরু হলো। আমরা প্রতি মাসেই একটি করে অনলাইন মিটআপের মাধ্যমে সবার কাজের অগ্রগতি জানার চেষ্টা করবো। আমরা ব্যবসায় রিসার্চ এবং ডেভেলপমেন্টে আরও বেশি মনোযোগী হবো। আমরা প্রতিটা পণ্য তৈরি করার সময় বিশ্ববাজারে পণ্যের গ্রহণযোগ্যতা এবং টেকসই উন্নয়নে খেয়াল রাখবো।

“প্রতিটি উদ্যোক্তাদের জীবনে জয়-পরাজয় একটি অংশ।কিন্তু পরাজয়ে আপনার জীবন শেষ হবে এমন নয়। জীবনের পরাজয়কে পেছনে ফেলে যখন এগিয়ে যাবেন তখনই জয়ী হবেন,” বলে মন্তব্য করেন ড. রুবানা হক।

প্রকল্পে অংশ নেওয়া উদ্যোক্তারা উদ্যোক্তা বার্তাকে তাদের মতামত জানান।

আশা ফুডের কর্ণধার উদ্যোক্তা আসমা খাতুন আশা  বলেন: এই ৮ মাসে আমি অনেক কিছু শিখলাম।আমাদের ৯ টি ইনকিউবেশন সেশন, গার্লস ইনোভেশন বুটক্যাম্প সংযুক্তিকরণ, আর্থিক সহায়তা ও বিপণন– এসকল বিষয় নিয়ে যে ট্রেনিং প্রোগ্রামগুলো হয়েছে, পরবর্তীতে আমাদের উদ্যোগে নতুন কিছু সংযোজন করবে।এছাড়াও আমাদের উদ্যোক্তাদের মেন্টরশিপ খুব প্রয়োজন। তাই আমি বলবো আমাদের জন্য এই প্রকল্পটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

প্রকল্পে অংশ নেওয়া উদ্যোক্তা জান্নাত সুলতানা বলেন, “আমি কাজ করছি জামদানি নিয়ে। আমি সবসময় চেষ্টা করি নারী উদ্যোক্তাদের সংগঠনগুলোর সাথে যুক্ত থাকতে।আমি মনে করি একা আসলে এগিয়ে যাওয়াটা মুশকিল। তাই সংঘবদ্ধ হয়ে কাজ করাটা জরুরি। আমি কোহর্টের এই প্রকল্পের মাধ্যমে অনেক কিছু শিখেছি, যেমন আর্থিক সহায়তা তো অবশ্যই দরকার। কিন্তু মানসিক সাপোর্ট খুব বেশি প্রয়োজন আমাদের নারী উদ্যোক্তাদের। তাই সামনে যখনই কোন প্রকল্প হবে সেখানে যুক্ত থেকে নিজেকে সমৃদ্ধ করতে চাই।”

প্রকল্পে অংশ নেওয়া ৩৭ জন নারী উদ্যোক্তাকে ক্রেস্ট ও সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়।

কেক কেটে এবং মতবিনিময়ের মাধ্যমে প্রকল্পের সমাপনী ঘোষনা করা হয়।

মাসুমা শারমিন সুমি,
উদ্যোক্তা বার্তা

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here