উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি ও গুণগত মানসম্পন্ন পণ্য তৈরির জন্য প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের ১০ প্রতিষ্ঠানকে ন্যাশনাল প্রোডাক্টিভিটি অ্যান্ড কোয়ালিটি এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড দেয়া হয়েছে। ২০১৯ সালের জন্য বৃহৎ, মাঝারি, ক্ষুদ্র শিল্প ক্যাটাগড়িতে এ পুরস্কার দেয়া হয়।

এবার শিল্প মন্ত্রণালয় ২০১৯ সালের জন্য ৩১ প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কারের জন্য মনোনীত করেছে। এই পুরস্কারের মধ্যে ১০টি পুরস্কারই পেয়েছে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপ।

পুরস্কারের মধ্যে বৃহৎ শিল্প ক্যাটাগরিতে ইস্পাত ও প্রকৌশল খাতের জন্য তিনটি অ্যাওয়ার্ডই পেয়েছে আরএফএল গ্রুপের পৃথক তিনটি প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে প্রথম পুরস্কার পেয়েছে বঙ্গ বিল্ডিং ম্যাটেরিয়ালস লিমিটেড, দ্বিতীয় আরএফএল ইলেকট্রনিক্স লিমিটেড এবং তৃতীয় রংপুর মেটাল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। এই ক্যাটাগরির খাদ্য শিল্প খাতে দ্বিতীয় পুরস্কার পেয়েছে প্রাণ গ্রুপের নাটোর এগ্রো লিমিটেড। এছাড়া বৃহৎ ক্যাটাগরিতে প্লাস্টিক খাতের জন্য প্রথম পুরস্কার পেয়েছে আরএফএল প্লাস্টিকস লিমিটেড ও দ্বিতীয় হয়েছে ডিউরেবল প্লাস্টিক লিমিটেড।

মাঝারি শিল্প ক্যাটাগরিতে ইস্পাত ও প্রকৌশল খাতে প্রথম পুরস্কার পেয়েছে আরএফএল গ্রুপের গেটওয়েল লিমিটেড। এই ক্যাটাগরিতে প্লাস্টিক খাতে প্রথম হয়েছে আরএফএল-এর বঙ্গ প্লাস্টিক ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড এবং অন্যান্য শিল্পখাতের আওতায় প্রথম হয়েছে প্রাণ গ্রুপের প্যাকম্যাট ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। পাশাপাশি ক্ষুদ্র শিল্প ক্যাটাগরিতে দ্বিতীয় পুরস্কার পেয়েছে আরএফএল গ্রুপের রংপুর ফাউন্ড্রি লিমিটেড।

সোমবার রাজধানীর একটি হোটেলে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এ পুরস্কার তুলে দেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন। নাটোর এগ্রো’র পক্ষে প্রাণ গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইলিয়াছ মৃধা এবং প্যাকম্যাট ইন্ডাস্ট্রিজ এর পক্ষে নির্বাহী পরিচালক মনিরুজ্জামান পুরস্কার গ্রহণ করেন।

আরএফএল গ্রুপের মধ্যে বঙ্গ বিল্ডিং ম্যাটেরিয়ালসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক দিলীপ কুমার সূত্রধর, আরএফএল ইলেকট্রনিক্স এর চিফ অপারেটিং অফিসার নূর আলম, রংপুর মেটাল ইন্ডাস্ট্রিজের পরিচালক মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান, আরএফএল প্লাস্টিকসের নির্বাহী পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম, ডিউরেবল প্লাস্টিকের নির্বাহী পরিচালক তৌকরুল ইসলাম, গেট ওয়েল এর চিফ অপারেটিং অফিসার সাইদ হোসেন চৌধুরী, বঙ্গ প্লাস্টিক ইন্টারন্যাশনালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ কাজী আব্দুল কাইয়ুম এবং রংপুর ফাউন্ড্রির চিফ অপারেটিং অফিসার আফজালুর রহমান নিজ নিজ কোম্পানির পক্ষে পুরস্কার গ্রহন করেন।

প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের বিপণন পরিচালক কামরুজ্জামান কামাল বলেন, “উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি ও গুণগত মানসম্পন্ন পণ্য তৈরির জন্য এবার আমাদের ১০টি প্রতিষ্ঠান এই পুরস্কার পাওয়ায় আমরা আনন্দিত। বর্তমানে প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, ফ্রুট ড্রিংকস, জুস ও বেভারেজ, কনফেকশনারি পণ্য ক্যাটাগড়িতে প্রাণ ব্র্যান্ড নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছে এবং দেশীয় ও বহুজাতিক কোম্পানির সাথে প্রতিযোগিতা করে এ ধরনের প্রায় সব পণ্যে বাজারে নেতৃত্ব দিচ্ছে। অপরদিকে গৃহস্থালী প্লাস্টিক, গৃহস্থালী নির্মাণ সামগ্রী, ইলেকট্রনিকস, ফার্নিচারসহ বিভিন্ন পণ্য উৎপাদন ও রপ্তানি করছে আরএফএল গ্রুপ। প্রাণ-আরএফএল এর পণ্য বিশ্বের ১৪৫টি দেশে পাওয়া যাচ্ছে।

ক্রমেই বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রাণ-আরএফএল পণ্য রপ্তানির ধারা অব্যাহত রেখেছে এবং এর স্বীকৃতিস্বরুপ সরকারের কাছ থেকে পরপর ১৬ বার জাতীয় রপ্তানি ট্রফি অর্জন করেছে। এছাড়া প্রাণ-আরএফএল গ্রুপ প্রতিবছর ভ্যাট অ্যাওয়ার্ডসহ বিভিন্ন ধরনের স্বীকৃতি পেয়ে আসছে।

বর্তমানে গ্রুপে এক লাখের অধিক জনবল রয়েছে যাদের পরিশ্রমে একের পর এক অর্জন ধরা দিচ্ছে। আমরা মনে করি, আমাদের এগিয়ে চলার পথে এই ধরনের স্বীকৃতি নিঃসন্দেহে বড় ভূমিকা রাখছে এবং দিনদিন প্রাণ-আরএফএলকে আরও সাফল্যমন্ডিত করছে। সেই সাথে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ভূমিকা রেখে চলছে”।

মেহনাজ খান
উদ্যোক্তা বার্তা ঢাকা।

1 COMMENT

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here