পড়াশোনার পাশাপাশি উদ্ভাবনী কিছু করার ইচ্ছে ছিলো জাহাঙ্গীর আলম খানের। এসএসসি’র পরই পাড়ি জমান বিদেশে। কিন্তু মন বসছিলোনা প্রবাসে।
দেশে ফিরে ভর্তি হলেন ইস্টওয়েস্ট ইউনিভার্সিটিতে। প্রথম দুবছর প্রোগ্রামিং এ মনযোগী হয়ে মোবাইল অ্যাপস ডেভেলপমেন্ট, ওয়েব প্রোগ্রামিং ইত্যাদি কাজে যুক্ত হয়ে দেশী বিদেশী বেশকিছু প্রোজেক্ট সফলভাবে সম্পন্ন করেন।
স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে কাজ করার আগ্রহ থেকে ডিজিটাল হেলথ বিষয়ে একটি দক্ষ মেডিক্যাল টিম তৈরি করেন তিনি। যাত্রা শুরু হয় ‘মেডিটর হেলথ’ এর।
২০১৭ সালে তিনি বাংলাদেশ আইসিটি ডিভিশনের উদ্ভাবনী ফান্ড থেকে ছোট স্কেলের একটি অনুদান পান এবং এর উপর ভিত্তি করে ‘মেডিটর হেলথ’ নামে একটি স্টার্টআপ তৈরির কাজ শুরু করেন।
দেশব্যাপী স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধি এবং দক্ষ স্বাস্থ্য কর্মী তৈরির লক্ষ্যে ‘মেডিটর হেলথ’ এর মাধ্যমে নানামুখী কার্যক্রম পরিচালনা করে যাচ্ছেন তিনি।
জাহাঙ্গীর আলম খান উদ্যোক্তা বার্তাকে বলেন, “দেশের মানুষের জীবনের মৌলিক সমস্যাগুলোর মধ্যে স্বাস্থ্যসেবার মান উন্নয়ন করা অনেক বেশি জরুরী বলে আমার মনে হয়েছে। হেলথ সেক্টরে আধুনিক প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে সহজেই নিরাপদ এবং উন্নত স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের উদ্দেশ্যেই ‘মেডিটর হেলথ’ এর পথচলা শুরু।”
২০১৮ সালে জাহাঙ্গীর আলম খান ‘মেডিটর হেলথ’ নামে একটি মোবাইল অ্যাপ পরীক্ষামূলকভাবে চালু করেন যা নিকটস্থ হেলথ কেয়ার সেন্টার এর মাধ্যমে ডিজিটাল উপায়ে কম খরচে প্রাইমারি লেভেলের বেশ কিছু সেবাসমূহ সহজে প্রদান করবে। অ্যাপ থেকে ইতিবাচক সাড়া আসার পর স্মার্ট কর্পোরেট হেলথ চেকআপ সার্ভিস প্রদান করার জন্যে ঢাকায় ২টি কেয়ার সেন্টার চালু করেন।
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক মানের সার্ভিস প্রদানের জন্য বাড়তি সতর্কতা এবং নিয়মাবলী মেনে, হেলথ কেয়ার সার্ভিস বেশ সময় নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে কার্যক্রম পরিচালনা করছে। ২০১৯ সালের জানুয়ারি থেকে তিনি বাণিজ্যিকভাবে সেবা প্রদান শুরু করবেন।”
জেবুননেসা প্রীতি
এসএমই করেস্পন্ডেন্ট ,উদ্যোক্তা বার্তা