মৌলভীবাজার সদর উপজেলার আরিফ এগ্রো ফার্ম ও নার্সারির গাছে গাছে ঝুলছে তরমুজ সদৃশ ফল সাম্মাম। প্রথমবারের মতো মরুভূমির এই ফল বাণিজ্যিকভাবে চাষ শুরু করেছেন মো: আলিফ নূর আরিফ।
পূর্বপরিচিত হবিগঞ্জ জেলার একজন কৃষক আমজাদ খানের পরামর্শেই মরুভূমির এই ফল চাষাবাদে আগ্রহী হয়ে উঠেন তিনি। প্রথমবারেই সাফল্য পেয়েছেন বেশ। এই পর্যন্ত লক্ষাধিক টাকার সাম্মাম বিক্রি করেছেন তিনি।
ঢাকা থেকে সাম্মাম ফলের বীজ কিনে এনে তার ফার্মের পলিব্যাগে ১৫শ চারা তৈরি করেন। সাতদিন পর সেই চারা একটু একটু করে বড় হলে জমিতে রোপণ করেন আরিফ। প্রায় ২ মাস রক্ষণাবেক্ষণের পর বাগানজুড়ে দেখা দেয় কাঙ্ক্ষিত সেই মরুভূমির ফল।
আরিফ বলেন, ‘আমি প্রথমবারের মতো এই সাম্মাম বাগান করেছি। প্রথমবারেই অনেক ভালো ফলন হয়েছে। আমি এবার প্রায় দেড় লক্ষ টাকার ফল বিক্রি করেছি। এটি অনেক সুস্বাদু একটি ফল। ৫/৬ জন কর্মীর পাশাপাশি আমার সহধর্মিণী আমাকে এই কাজে অনেক সহযোগিতা করেছেন।’
মৌলভীবাজার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কাজী লুৎফুল বারী বলেন, ‘সাম্মাম বা রকমেলন এই ফলটি বাংলাদেশে নতুন। বিগত ২ বছর মৌলভীবাজার জেলার বিভিন্ন অঞ্চলে বিচ্ছিন্নভাবে এটি চাষ হচ্ছে। আমরা তাদেরকে কারিগরি সহায়তা দিচ্ছি। এটি অত্যন্ত সুস্বাদু এবং পুষ্টিকর একটি ফল। এটি উচ্চমূল্যের একটি ফসল। তাই এই ফলটি চাষে আমরা সবাইকে উদ্বুদ্ধ করছি। বর্তমানে প্রতি কেজি ১৩০ টাকা করে বিক্রি করতে পারছেন, ফলে কৃষক লাভবান হচ্ছেন এবং এটি যেনো আরো সম্প্রসারিত হয় তার জন্য আমরা কৃষি উদ্যোক্তাদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছি।’
মৌসুমে ৩৫ হাজার টাকা বিনিয়োগে ৩০ শতক জমি থেকে সাম্মাম বিক্রি করে আরিফের আয় হবে প্রায় ৩ লাখ টাকা।
শুধু সাম্মাম নয়, আরিফের ফার্মে রয়েছে বেগুন, টমোটোসহ নানা জাতের সবজিও। এসব ফল ও সবজির চারাও বিক্রি করে থাকেন তিনি। তার বাগান দেখতে এবং চারা কিনতে অনেকেই ভিড় করেন।
কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, হাইব্রিড জাতের বিদেশি এই ফল চাষে সার্বিক সহযোগিতা দেয়া হবে কৃষি উদ্যোক্তাদের।
সেতু ইসরাত
উদ্যোক্তা বার্তা