দিলরুবা আখতার শিক্ষকতার সঙ্গে যুক্ত থাকলেও নিজের মতো করে কিছু করতে পারতেন না।পরে চিন্তা করলেন চাকরি বাদ দিয়ে ব্যবসা করবেন। নিজের পায়ে দাঁড়াবেন। প্রায় শূন্য হাতেই শুরু করেছিলেন দিপা। অর্থনৈতিকভাবে পাশে পেয়েছেন নিজের ভাইকে আর মানসিকভাবে মাকে। তাতেই আপন শক্তিতে উদ্যোক্তা হিসেবে সবার কাছে মেলে ধরেছেন নিজেকে। এখনতো দিপা নামে না ডেকে সবাই ‘‘দিপা’স বেকারি’’ নামেই চেনে উদ্যোক্তাকে।
নিজের নামেই ২০১৭ সালে খুলেছেন অনলাইন খাবারের ব্যবসা “দিপা’স বেকারি”। প্রথম দিকে রান্না না পারলেও মায়ের রান্না দেখতে ভালো লাগতো দিপার। মায়ের কাছেই হাতে খড়ি।রান্নাও মায়ের কাছে শিখেন।
এরপর ট্রেনিং নিয়েছেন বেশ কয়েক জায়গা থেকে। ট্রেনিং করা অবস্থা থেকেই অর্ডার পাওয়া শুরু করেন। এই যে শুরু এই শুরু থেকেই এখন পর্যন্ত সামনে এগিয়ে চলেছেন এই উদ্যোক্তা।
পুঁজি বলতে শূন্য হাতেই শুরু করেন এই উদ্যোক্তা। ঘরের সব কিছু দিয়েই শুরুটা করেন। আটা, ময়দা দিয়ে শুরু করেন বিস্কুট, ব্রেড তৈরি করা এবং পরে ওভেনসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র কিনেন ভালোভাবে শুরু করেন।
দিপা’স বেকারিতে হোম মেড প্রায় সবরকমই খাবার পাওয়া যায়। নানা রকমের বিস্কিট, ব্রেড, নিমকিসহ হরেক রকম জিনিস। উদ্যোক্তা গায়ে হলুদ থেকে শুরু করে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের অর্ডার ও পান।
পারিবারিক কোন বাধার সম্মুখীন হয়েছেন কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন: কেউ কেউ বলে চাকরীই ভালো এসব করার থেকে। বাধার মধ্যেও ভাই আমাকে অর্থনৈতিক দিক থেকে সাপোর্ট দেন এবং মা আমাকে মানসিক ভাবে সাপোর্ট দেন। কিন্তু বাবা চায় আমি চাকরি করি।
তিনি টাকার থেকে ক্রেতাদের বড় করে দেখেন। এবং ক্রেতাদের সন্তুষ্টিতেই নিজে সন্তুষ্ট থাকেন। ক্রেতাদের কাছ থেকে খুব ভালো সাড়া পাচ্ছেন বলেও জানান তিনি।
দিলরুবা আখতার নিজে কাজ শিখে অন্যদেরকেও কাজ শিখিয়েছেন। তিনি চান সবাই সাবলম্বী হোক। সম্প্রতি বি’ইয়ার তরুণ উদ্যোক্তার মেলায় সম্ভাবনাময়ী তরুণ উদ্যোক্তার তালিকায় সম্মাননাও পেয়েছেন এই উদ্যোক্তা।
খাদিজা ইসলাম স্বপ্না