প্রায় নয় বছর পর এনআরবি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান নিযুক্ত হলেন বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ ব্যবসায়ী ইকবাল আহমেদ ওবিই।
১২ই মার্চ আগের পরিচালনা পর্ষদ ভেঙ্গে দিয়ে ৭ সদস্যের পরিচালনা পর্ষদ গঠন করে দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। রোববার 23 শে মার্চ নতুন পর্ষদের ১ম বৈঠকে সর্বসম্মতিক্রম এর চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন বাংলাদেশ ব্যাংকের ঠিক করে দেয়া এবং বোর্ডে একমাত্র উদ্যোক্তা শেয়ার হোল্ডার ইকবাল আহমেদ।
দেশের বাইরে থাকা স্বতন্ত্র পরিচালক ফেরদৌস আরা বেগম অনুপস্থিত ছিলেন বোর্ড মিটিং এ।
রোববার সকালে ব্যাংকে এলে ইকবাল আহমেদ ওবিই কে স্বাগত জানান ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তারেক রিয়াজ খানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। এরপর একে একে ঋণ প্রশাসন বিভাগ, কর্পোরেট ঝুঁকি বিভাগ, ঋণ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা বিভাগ ঘুরে দেখান সব পরিচালকদের।
বৈদেশিক বাণিজ্য এবং বিদেশী মুদ্রা ব্যবস্থাপনা বিভাগ নিয়ে অসন্তষ্টির কথা বলেন ব্যাংকটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক তারেক রিয়াজ খান। সমসাময়িক ব্যাংকের চেয়ে তারা পিছিয়ে আছে এটি স্বীকার করে উন্নতির সুযোগ ব্যাখ্যা করেন।
মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগ এবং এসএমই অর্থায়ন বিভাগের কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে ব্যাংকের ব্যবসা বৃদ্ধিতে সবার সহযোগিতা চান তিনি।
২০১৩ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত এনআরবি ব্যাংকের চেয়ারম্যান ছিলেন ইকবাল আহমেদ। এরপর ব্যাংকটির নিয়ন্ত্রণ চলে যায় আতর ব্যবসায়ী মাহতাবুর রহমানের কাছে। এরপর তিনি পরিবারের সদস্য ও পরিচিতদের ব্যাংকে যুক্ত করে ব্যাংকটিতে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেন। একসময় পরিচালক থেকে ইকবাল আহমেদকে বাদ দেওয়া হয়। মাহতাবুর রহমান ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত ছিলেন। ব্যাংকটির কর্মকাণ্ড নিয়ে বিতর্ক থাকলেও কেউ কোনো ব্যবস্থা নেননি।
৫ই আগস্ট সরকার পতনের পর লুটপাটের স্বীকার ব্যাংকিং খাতে সংস্কারের অংশ হিসেবে ১৪টি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ পুন:গঠন করে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এরই মধ্যে কয়েকটি ব্যাংক ঘুরে দাঁড়িয়েছে।
এনআরবি ব্যাংকও সেই তালিকায় উঠতে চায় জানান, ব্যাংকটির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ইকবাল আহমেদ ওবিই।
বিশ্বজুড়ে তিনি সততা, সুনাম ও সফলতার সঙ্গে তাঁর ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনা করে বাংলাদেশের নাম বিশ্বদরবারে উজ্জ্বল করেছেন। একটি ছোট পারিবারিক ব্যবসা থেকে সীমার্ক গ্রুপ বিশ্বব্যাপী হিমায়িত সামুদ্রিক খাবার এবং বিভিন্ন খাদ্যপণ্য সরবরাহ করে। ১৯৭৬ সালে ইকবাল ব্রাদার্স অ্যান্ড কোম্পানি (বর্তমানে আইবিসিও লিমিটেড) তৈরি করেন, যা হিমায়িত সামুদ্রিক খাবার এবং সব ধরনের হিমায়িত খাদ্যপণ্য আমদানি ও বিতরণ করে এবং যুক্তরাজ্য ও ইইউতে ব্ল্যাক টাইগার চিংড়ি আমদানিকারী প্রথম ব্যক্তি ছিলেন।
