তাঁতশিল্পে তরুণ উদ্যোক্তাদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, বর্তমান অবস্থা ধরে রাখতে আরো বেশি কাজ করতে হবে।
বুধবার বিকেলে রাজধানীর গুলশানের গ্র্যান্ড গার্ডেনিয়া হলে হেরিটেজ হ্যান্ডলুম ফেস্টিভ্যালের (তাঁতপণ্য প্রদর্শনী) উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, তাঁতপণ্য নিয়ে বর্তমানে যে সুযোগ আছে তা ধরে রাখতে হবে। এজন্য পরিশ্রম করতে হবে এবং তরুণ ও নবীন উদ্যোক্তাদের এগিয়ে আসতে হবে। সরকারের জন্য অপেক্ষা না করে বিভাগীয় শহরগুলোতে মিউজিয়াম করার চেষ্টা করুন। সরকার দেখবেন তখন সহযোগিতা করছে।
এম এ মান্নান বলেন, স্টার্ট আপ বা নতুন উদ্যোক্তাদের জন্য এবার আমরা ১০০ কোটি বরাদ্দ রেখেছি, জানি না কতটুকু ব্যবহার হবে, এসএমইএর জন্য আরও ১০০ বা ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখার জন্য জোরালো মতামত ব্যক্ত করছি।
সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, এটি আমাদের আদিশিল্প। মধ্যযুগেও আমরা এ বিষয়ে পারদর্শী ছিলাম। বয়ন শিল্পে যাতে আমাদের অস্তিত্ব ও ঐতিহ্য টিকিয়ে রাখতে পারি, সেটি আমাদের একান্ত কাম্য।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার বলেন, তাঁতপণ্য নিয়ে আমাদের কর্মকাণ্ড বিদেশেও ছড়িয়ে দিতে হবে। এই মেলায় ৪৫ টি স্টল আছে যা বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয়দের মধ্যে অন্যতম। এই মেলাগুলো করার ফলে তাদের বাজার প্রসারের ভূমিকা পালন করবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেন, তাঁতপণ্য নিয়ে আমাদের এগিয়ে আসতে হবে। নতুন উদ্যোক্তা তৈরি করতে হবে। আপনারা কাজ করুন, আপনাদের সহায়তা করা হবে।
অনুষ্ঠানে এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন কে এম হাবিব উল্লাহর সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন এসএমই ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সফিকুল ইসলাম। এছাড়াও আরও বক্তব্য রাখেন এ্যাসোসিয়েশন অব ফ্যাশন ডিজাইনার্স অব বাংলাদেশের (এএফডিবি) সভাপতি মানতাশা আহমেদ।
ফেস্টিভ্যাল সবার জন্য উন্মুক্ত। ফেস্টিভ্যাল প্রতিদিন সকাল ১০ টা হতে রাত ৮ টা পর্যন্ত চলবে। শুধুমাত্র বৃহস্পতিবার মেলার দ্বিতীয় দিন সকাল ১০ টা হতে দুপুর ২ টা পর্যন্ত শুধুমাত্র বিদেশী মিশনের কূটনীতিক ও বিদেশী অতিথিদের জন্য নির্ধারিত থাকবে।
এবারের হেরিটেজ হ্যান্ডলুম ফেস্টিভ্যাল-২০১৯ এ ৪৫ টি স্টলে ঐতিহ্যবাহী বিভিন্ন ধরনের তাঁত ও কারুপণ্য যেমন: নকশি কাঁথা, বেনারসি শাড়ি, টাঙ্গাইল শাড়ি, জামদানি শাড়ি, সিরাজগঞ্জ শাড়ি-লুঙ্গী-গামছা, মণিপুরী কাপড়, রাঙ্গামাটির চাকমাসহ অন্যান্যদের কাপড়, খাদি, রাজশাহী সিল্ক, পাটজাত পণ্য, শতরঞ্জি পণ্য, বাঁশ-বেত পণ্য, পটচিত্র প্রদর্শিত ও বিক্রয় করা হবে।
তাঁতিদের উৎপাদিত পণ্যের পাশাপাশি দেশের শীর্ষস্থানীয় চিত্রশিল্পী ও ডিজাইনারদের তৈরি অত্যন্ত আকর্ষণীয় দৈনন্দিন ব্যবহার্য পণ্য ফেস্টিভ্যালে প্রদর্শন করা হবে। প্রদর্শনীর পাশাপাশি এসব পণ্যের বুনন প্রক্রিয়াও প্রদর্শিত হচ্ছে।
এ ফেস্টিভ্যালের মাধ্যমে তাঁত পণ্য প্রস্তুতকারক, শীর্ষস্থানীয় ডিজাইনার এবং ক্রেতাদের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
হৃদয় সম্রাট