চাকরির চেয়ে অনেক আনন্দের নিজের ব্যবসার সাফল্য

0

ব্যবসা করে প্রতিষ্ঠিত হবেন এমন চিন্তাই সব সময় মাথায় ঘুরছিল উদ্যোক্তা নাদিরা হোসাইন রুপার। তাইতো কখনো চাকরিতে মন বসাতে পারেননি। তাছাড়া তার স্বামীরও অপছন্দ ছিল চাকরি।

তাইতো নিজেই ট্রেনিং নিয়ে কাজ শুরু করেছিলেন। প্রথম দিকে তিনি বাসার ডাইনিংয়ে টুকটাক কাজ শুরু করেন এবং দেখলেন সফলতা আসছে। তারপরেই শুরু করেন বড় আকারে কিছু করার।

উদ্যোক্তা মনে করেন নিজে কোন কিছু করে সফলতা পেলে সেই আনন্দটা চাকুরী করার থেকে অনেক বেশি। নিজের একটা পরিচয় তৈরী হয়।

সালটা ২০০৯, নিজের হাত খরচ বাঁচিয়ে ৫০ হাজার টাকা নিয়ে শুরু করেন ব্যবসা।কারো কাছ থেকে কোন রকম সাহায্য ছাড়াই শুরু করেছিলেন এই ঘরোয়া ব্যবসা। যেহেতু ঘরোয়া ভাবে শুরু করেছেন তাই নামটাও দিয়ে দিলেন ‘ঘরোয়া বুটিকস’। বর্তমানে উদ্যোক্তার বুটিকসের জন্য কারখানা আছে।

কেমন সাড়া কেমন পাচ্ছেন জানতে চাইলে নাদিরা হোসাইন উদ্যোক্তা বার্তাকে বলেন, “আমার’তো অনেক দিনের ব্যবসা সাড়া বেশ ভালোই পাই। সবাই কারখানাতে এসে দেখে শুনে নিয়ে যান।আগে আমি কোন মেলাতে স্টল দিতাম না কিন্তু গত ৫বছর ধরে স্টল দিচ্ছি এবং স্টল দেওয়ার ফলে পরিচিতি টা বেড়েছে এবং সাড়া আলহামদুলিল্লাহ অনেক ভালো পাচ্ছি।”

তিনি বলেন, অনলাইনে অর্ডার না আমি মনে করি আমার যারা কাস্টমার আছেন তারা ফেসবুক পেইজ এ প্রোডাক্ট দেখে  আমার এখানে আসবে এবং ১০টা দেখে ১/২ টা কিনবে। আমার সাথে তাদের একটা ভালো সম্পর্ক তৈরী হবে। দেখে শুনে নিয়ে যাবে।

ঘরোয়া বুটিকস মেয়েদের বিভিন্ন রকম শাড়ি, সালোয়ার কামিজ, ওয়ান পিস, ঘর সাজানোর প্রোডাক্ট, বিছানার কভার,কুশন,পর্দা ছাড়াও অনেক কিছু পাওয়া যায়।

ঘরোয়া হাউজের প্রোডাক্টের সর্বনিম্ন মূল্য ৮৫০ টাকা এবং সর্বোচ্চ মূল্য ৩০০০ থেকে ৪০০০ টাকা।

শুরুর ৫০ হাজার টাকা থেকে এখন  নাদিরা হোসাইন রুপার লাভের অংকটা দাঁড়িয়েছে প্রতি মাসে প্রায় দুই লাখের কাছাকাছি। একজন মানুষ স্বপ্ন দেখলে সব সম্ভব। তারই উদাহরণ এই নাদিরা হোসাইন রুপা।

খাদিজা ইসলাম স্বপ্না

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here