আফগানিস্তানে যাচ্ছে হৃদয়ের ক্যামিকেলমুক্ত তুলশিমালা চাল

0
উদ্যোক্তা হৃদয় হাসান

চাকরির আর এক নাম সোনার হরিণ। এই সোনার হরিণ যে কতোটা দুষ্প্রাপ্য ও অমূল্য তা ছাত্র অবস্থায় টের প্রেয়ে গিয়েছিলেন হৃদয় হাসান। তাই তিনি সিদ্বান্ত নেন নিজেই কিছু একটা করবেন। এমন চিন্তা থেকে ২০১৫ সালে অনার্স ৩য় বর্ষে পড়াকালিন সময়ে ৪ বন্ধু মিলে একটি স্কুল খুললেন। কিন্তু অভিজ্ঞতা না থাকায় সে যাত্রায় ক্ষতির সম্মুখিন হতে হয়।

পরে তিনি জীবিকার জন্য চাকরি শুরু করেন। মনের মধ্যে সবসময় ব্যবসা করার এক প্রবল ইচ্ছা তাকে তাড়িত করতো কিন্তু অর্থ সংকোটে তা হয়ে উঠতো না। দীর্ঘ ২ বছর পর এক বন্ধুর সহযোগীতায় তিনি উদ্যোগের পথে পা বাড়ালেন। তার উদ্যোগে পুঁজি বলতে শুধু তার আইডিয়া এবং বন্ধুর দেয়া ফান্ড তা দিয়েই উদ্যোক্তার হওয়ার পথ বেছে নেন।

তিনি মূলত ১১ ধরনের পণ্য যেমন- বিশুদ্ধ দেশীয় তেল, নিত্য প্রয়োজনীয় ঐতিহ্যবাহী পণ্য, বাছাই করা সেরা মানের মসলা, খাঁটি মধু, হোম মেড আচার, অর্গানিক ও ক্যামিকেল মুক্ত শুটকি, বাদাম ও খেজুর আইটেম, রেডি টু কুক, সিজন বেস্ট পণ্য, দেশের বিখ্যাতসব পণ্যসহ প্রায় ১৩০ টিরও অধিক পন্য নিয়ে কাজ করছেন। তার নিজস্ব উৎপাদিত পণ্যগুলোর মধ্যে রয়েছে, শেরপুর জেলার জেলা ব্র্যান্ডিং তুলশীমালা চাল (পোলাও চাল), ভাতের জন্য কাটারি, নাজির ও পাইজাম চাল, হাতে ভাজা মুড়ি, ঢেঁকি ছাটা লাল চাল, ঘি, নিজস্ব কারখানায় তৈরি আচার, নারিকেল লাড্ডু। এছাড়াও নিজস্ব তত্ত্বাবধানে আরো কিছু পণ্য সংগ্রহ করে থাকেন ও তৈরি করেন।

উদ্যোক্তা হৃদয় হাসান ‘গ্রাম্য ফুড’ নামে একটি অনলাইন প্লাটফর্মের মাধ্যমে যাত্রা শুরু করলেও বর্তমানে তার একটি আউটলেট আছে এবং ২য় আউটলেটের কাজ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। বর্তমানে তার কর্মী সংখ্যা ৫ জন এছাড়াও খন্ডকালিন কর্মী রয়েছেন আরো ৬ জন। ১২০ স্কয়ার ফিটের একটি কারখানা রয়েছে গাজীপুরে।

সারাদেশে বিভাগীয় শহরগুলোতে হৃদয়ের পণ্য পৌঁছে যাচ্ছে এবং আফগানিস্তানে তার ক্যামিকেলমুক্ত তুলশিমালা চাল রপ্তানি হয়ে থাকে। নিজস্ব প্রায় ৪২ টি পণ্য উৎপাদিত হয়ে থাকে এবং মাসে অনলাইন এবং অফলাইন থেকে প্রায় ৫ লক্ষ টাকার মত বিক্রি করেন।

স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতে পৌষ মেলাসহ, বিসিক এবং বিভিন্ন অনলাইন মেলায় অংশ নেন তিনি। উদ্যোক্তা হৃদয় হাসানের ইচ্ছা প্রতিটি বিভাগ এবং জেলায় পর্যায়ক্রমে তার গ্রাম্য ফুডের আউটলেট থাকবে। দেশের প্রতিটি প্রান্তে তিনি তার পণ্য পৌঁছে দিতে চান৷

বাবা ফরহাদ আলী এবং অঞ্জলী বেগমের বড় ছেলে হৃদয় হাসান। শেরপুর জেলার এক প্রত্যন্ত গ্রামে তার জন্ম ও বেড়ে উঠা। শেরপুর সরকারি কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগে অনার্স মাস্টার্স সম্পন্ন করেন।

সেতু ইসরাত
উদ্যোক্তা বার্তা

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here