ঢাকার মিরপুরের মাজার রোডে ‘কারুশৈলি’র আউটলেটে তিন দিনব্যাপী নারী উদ্যোক্তা মেলা চলছে। ৮ মে শুরু হওয়া এই মেলা শেষ হবে ১০ মে। মেলায় অংশ নিয়েছেন দেশের নানা প্রান্ত থেকে আসা ২০ জন নারী উদ্যোক্তা।
মেলায় পা রাখতেই চোখে পড়ে নানা রঙের শাড়ি, ত্রিপিস, টুপিস, হাতে তৈরি গয়না, নকশীকাঁথা আর দেশীয় খাবারের বাহার। সবার স্টলেই সাজানো রয়েছে নিজেদের তৈরি পণ্য। কেউ এনেছেন গ্রামের ঐতিহ্যবাহী হস্তশিল্প, কেউ বা শহুরে কাস্টম ডিজাইনের গয়না। একেবারেই যেন এক টুকরো বাংলার মেলা।
মাগুরা থেকে আসা উদ্যোক্তা সুবর্ণা জানান,
“আমার মাগুরায় একটা ছোট্ট আউটলেট আছে। কিন্তু ঢাকায় এই প্রথম মেলায় অংশ নিচ্ছি। এখানে এসে অনেক নতুন ক্রেতার সঙ্গে দেখা হচ্ছে, তারা খুব আগ্রহ নিয়ে পণ্য দেখছেন, কিনছেনও। এই অভিজ্ঞতা সত্যিই দারুণ।”
অনলাইনে কাজ করলেও এই প্রথম অফলাইনে কোনো মেলায় অংশ নিয়েছেন ফারজানা আফরোজ রিতা। তার অভিজ্ঞতা বেশ আনন্দের।
“অনলাইনে তো কাজ করি অনেক দিন ধরেই, কিন্তু মেলায় বসে ক্রেতাদের রেসপন্স দেখা—এটাই একদম অন্যরকম। সবাই আমার গয়না খুব পছন্দ করছে। শুরুতে একটু ভয় লাগছিল, কীভাবে স্টল সাজাবো বা কী করবো, কিন্তু আশেপাশের সব উদ্যোক্তারা অনেক হেল্প করেছে। মেলার এই পারস্পরিক সহযোগিতা আমাকে খুবই ছুঁয়ে গেছে।”
এই মেলার আয়োজনে মূল উদ্যোক্তা কারুশৈলির প্রতিষ্ঠাতা আনোয়ারা আক্তার শিউলি। উদ্যোক্তাদের পাশে দাঁড়াতে, বিশেষ করে যারা অফলাইনে নিজেদের পণ্য প্রচারের সুযোগ পান না, তাদের জন্যই এই মেলার উদ্যোগ নিয়েছেন “আমি চাই, মেলায় শুধু আমাদের ট্রেনিং সেন্টারের নয়, বাইরের উদ্যোক্তারাও অংশ নিক। ভবিষ্যতে প্রতি মাসের প্রথম শুক্র ও শনিবার এমন আয়োজন করতে চাই,”—বললেন শিউলি।
সবার জন্য উন্মুক্ত এই মেলাটি প্রতিদিন সকাল থেকে রাত ৮ টা পর্যন্ত চলবে। নারী উদ্যোক্তাদের জন্য এটি শুধু পণ্য বিক্রির সুযোগ নয়, বরং নতুন মানুষের সঙ্গে পরিচিত হওয়া, নিজেদের উদ্যোগকে তুলে ধরার এক দারুণ প্ল্যাটফর্ম হয়ে উঠেছে।
হাবিবুর রহমান
উদ্যোক্তা বার্তা