শেষ হলো জাতীয় যুব দিবস উপলক্ষে আয়োজিত ৭ দিনের জমজমাট যুবমেলা।
১ নভেম্বর জাতীয় যুব দিবসের পরদিন রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমিতে মেলা শুরু হয়েছিল। সকলের জন্য উন্মুক্ত সপ্তাহব্যাপী মেলায় স্টল ছিল ১০২টি।
মঙ্গলবার বিকেলে শিল্পকলা একাডেমি চত্বরে যুবমেলা-২০২২ এর সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মোঃ জাহিদ আহসান রাসেল এমপি।
বিশেষ অতিথি ছিলেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব মেজবাহ উদ্দিন ও যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোঃ আজহারুল ইসলাম খান। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন যুবমেলা-২০২২ এর আহ্বায়ক এবং যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের পরিচালক (পরিকল্পনা) মোঃ আব্দুল আখের।
মেলায় উদ্যোক্তাদের অংশগ্রহণ ছিল উল্লেখ করার মতো।
তাদের একজন নকশিঘরের স্বত্ত্বাধিকারী পারভীন আক্তার। তিনি জানান, নানা রঙের নকশিকাঁথা, নকশি চাদর নিয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে যুবমেলায় অংশ নিতে এসেছেন তিনি।
নিজস্ব ডিজাইনে নকশিকাঁথা ও চাদর তিনি সেলাই করিয়ে নেন। তার কারখানার নিয়মিত কর্মী ১০০ জন। কর্মীদের বেশিরভাগই নারী। বিশেষত্ব হিসেবে জানালেন, কাঁথা এবং চাদরের জন্য টাঙ্গাইল থেকে বিশেষভাবে কাপড় তৈরি করিয়ে আনেন। তারপর নিজস্ব ডিজাইনে হাতে সেলাই করানো হয়। মূলত পাইকারি বিক্রি বেশি হলেও খুচরাও বিক্রি করেন পারভীন।
সাতদিনই মেলায় দর্শনার্থী ছিল অনেক। স্টলে স্টলে ঘুরে দেশি পণ্য দেখে কেনাকাটা করেছেন তারা। নানা স্বাদের খাবার ও পিঠাও তারা বেশ উপভোগ করেছেন।
দর্শনার্থীরা বলেছেন, এরকম মেলার আয়োজন করলে সবার জন্যই ভালো। সারাদেশ থেকে আসা উদ্যোক্তারা যেসব দেশি পণ্য নিয়ে মেলায় এসেছেন, সেগুলো অনলাইন থেকে কিনলে যাচাই-বাছাই করে নিতে পারেন না। তাই মেলার সবচেয়ে বড় সুবিধার এ দিকটার কথাই বলেছেন ক্রেতারা।
যুবমেলা প্রাঙ্গণের শুরুটাই ছিল ভাপা পিঠা, দুধ আর গুড়ের আবেশী গন্ধে ম-ম। পুলি পিঠা, নকশি পিঠা, ডিম পাকন, পাটিসাপটা, ভাপা পিঠা, বিবিখানা পিঠা, ঝাল পিঠা, তিলের পিঠা, মালপোয়া, নারকেল পুলি, পিঠা দুধ পুলি, মুগ পাকন, কুসুম সুখ, ইলিশ মাছের কিমার পিঠাসহ বিভিন্ন জেলার নানা ধরনের তৈরি পিঠার সমাহার ছিল মেলায়।
শতরঞ্জি, নকশিকাঁথা, মনিপুরী পোশাক, পাটের পণ্য এবং হস্তশিল্পের হরেক পণ্যে জমজমাট ছিল জাতীয় শিল্পকলা একাডেমির মেলা প্রাঙ্গণ।
মেহনাজ খান,
উদ্যোক্তা বার্তা