সানজানা নাওয়ার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি ভাষার প্রথম বর্ষে পড়ছেন, পাশাপাশি ভবিষ্যতে নিজেকে দেখছেন উদ্যোক্তা হিসেবে। তাইতো অনলাইন ছোট্ট পরিসরে খুলেছেন ‘অনাম্নী’।
স্বাধীনচেতা এই শিক্ষার্থীর ইচ্ছাই নিজে কিছু করবেন, করাণ নিজের আয়ের মজাই আলাদা। তাইতো মাত্র ৭৫০ টাকার পুঁজি নিয়ে অনলাইন প্ল্যাটফর্মে ‘অনাম্নী’।
সানজানা নাওয়ার উদ্যোক্তা বার্তাকে বললেন, আমার ধরাবাঁধা কিছু ভালো লাগতো না, সবসময় চাইতাম নিজে কিছু করি। তাই,আগে থেকেই বিভিন্ন হ্যান্ডমেইড গহনার পেজগুলি দেখতাম, তারা কে কেমন বানায়, কিভাবে বানায় খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে এসব দেখতাম।
সবসময় ভাবতাম চেষ্টা করলে আমিও তো পারবো, কিন্তু শুরু করতে পারছিলাম না। তারপর একদিন আমার বন্ধু আনন্দ হঠাৎ করে বললো ‘আজকেই তোর গহনা বানাতে যা যা লাগবে সব কিনবি, টাকাপয়সা নিয়ে আয়’, সেদিনই সব কিনলাম। ঈদের সময় আত্মীয়দের দেয়া টাকা থেকে সব কিনলাম। মাত্র ৭৫০ টাকা দিয়ে শুরু করেছিলাম। ভালো অর্ডার পাই এবং প্রথম ১৫ দিনেই প্রাথমিক ইনভেস্টমেন্ট উঠে আরো মুনাফা পাই।
“অনাম্নী”তে কাঠের হ্যান্ডপেইন্টেড পেন্ডেন্ট, দুল, আংটি, হিজাব পিন, চাবির রিং ছাড়াও আরো বিভিন্ন পণ্য পাওয়া যায়। সামনে আরো নতুন নতুন পণ্য নিয়ে আসবেন বলে জানান এই তরুণ উদ্যোক্তা। এখন পর্যন্ত ভালোই সাড়া পাচ্ছেন এই উদ্যোক্তা,বিশেষ করে পরিচিতদের মাঝে বেশি সাড়া পাচ্ছেন। সবাই আমার ওপর ভরসা করতে পারছে, অর্ডার আসছে বলেও জানান তিনি।
অনাম্নীর নিয়ে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ক্রাফটিংয়ের জগতে একটা পরিচিত নাম হয়ে উঠুক, অনাম্নীর পণ্য সবার মঙ্গলের সঙ্গী থাকুক। ব্যবসা শুরু করা মাত্র ৭৫০ টাকা থেকে লাভের পরিমাণ হয়েছে চার-পাঁচ হাজার টাকা।ভবিষ্যতে আরো বড় হতে চান এই উদ্যোক্তা।
তিনি জানান, এই উদ্যোগে সহযোগী হিসেবে আছে তার বন্ধু ইফতিখার আলম আনন্দ। যে কিনা শুরু থেকেই সব রকম সাহায্য করেছে।
খাদিজা ইসলাম স্বপ্না