তারুণ্যের উৎসবের অংশ হিসেবে ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ইন্ডাস্ট্রি স্কিলস কাউন্সিলের আয়োজনে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সার্বিক সহযোগিতায় শুরু হয়েছে ‘বাংলার ভোজ’ শীর্ষক বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী খাদ্য উৎসব ২০২৫।
মেলার সহযোগিতায় রয়েছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়, শিল্প মন্ত্রণালয়, এসএমই ফাউন্ডেশন ও বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশন। মেলায় দেশে বিভিন্ন অঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী খাবার নিয়ে প্রায় শতাধিক উদ্যোক্তা অংশগ্রহণ করেছেন।
সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দেশটা উপদেষ্টা জনাব মোস্তফা সরোয়ার ফারুকী প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে মেলার উদ্বোধন ঘোষণা করেন বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় অতিরিক্ত সচিব জনাব ফাতেমা রহিম ভিনা অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ইন্ডাস্ট্রি স্কিলস কাউন্সিলর চেয়ারম্যান জনাব মহিউদ্দিন হেলাল।
সবচেয়ে বড় বিকেল সাড়ে তিনটায় সম্মেলন উদ্বোধন অনুষ্ঠান প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের মাননীয় উপদেষ্টা ফরিদা আক্তার বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন স্টুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সচিব জনাব আবু তাহের মোঃ জাবের।
৮ ফেব্রুয়ারি বিকেল ৩:৩০ ঘটিকা মেলার সমাপনী অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের মাননীয় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন এসএমই ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাব আনোয়ার হোসেন চৌধুরী। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করবেন ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ইন্ডাস্ট্রি স্কিলস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান জনাব মহিউদ্দিন হেলাল।
দেশের ঐতিহ্যবাহী খাবারের মধ্যে উল্লেখযোগ্য বাংলাদেশের ইলিশ, নাটোরের কাঁচা গোল্লা, টাঙ্গাইলের পোড়াবাড়ি চমচম, ছানামুখী, সুন্দরবনের মধু, কুমিল্লার রসমালাইসহ নানাবিধ দেশি খাবার প্রদর্শনী,বিপণন ও উপভোগের ব্যবস্থা রয়েছে।
দেশের ঐতিহ্যবাহী খাদ্য সংস্কৃতির উৎসব বাংলার ভোজ আয়োজনে খাবার, পিঠাপুলি, মিষ্টান্নসহ খাবার প্রস্তুতি, খাদ্য শিল্পী ও দক্ষ প্রফেশনালদের মিলনমেলা। এ আয়োজনে মাধ্যমে রন্ধনশিল্পী ও দক্ষ প্রফেশনালদের মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি হবে। এছাড়াও শিক্ষার্থীদের উৎসাহিত করা এবং ভবিষ্যতে বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী খাবারকে মানুষের কাছে আরো গ্রহণযোগ্য করে তোলা।
তরুণদের মধ্যে সচেতনতা তৈরি সহ তারুণ্যের শক্তিকে কাজে লাগিয়ে ঐতিহ্যবাহী দেশীয় খাবার সংস্কৃতি ও প্রচারণায় উদ্যোগী ভূমিকা রাখছে বাংলার ভোজ। একই সাথে খাবার প্রস্তুত প্রণালী, খাবার সংগ্রহ সংরক্ষণ ও ব্যবস্থাপনায় শিক্ষণীয় হিসেবে বাংলার ভোজ আয়োজনটি একটি লাইভ কিচেন, লাইফ সার্ভিস প্লাটফর্মে পরিণত হয়েছে। যেখানে পর্যটন শিল্পে দক্ষ অভিজ্ঞ প্রফেশনালরা নতুনদেরকে উৎসাহিত করছেন এবং সাধারণের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধি করে এই আয়োজনকে অনন্য উৎসবে পরিণত করছেন।
৬-৮ ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত বনানীর মোস্তফা কামাল আকার্তুর পার্কে মেলাটি চলবে সকাল ১১ টা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত।