এন্টারপ্রেনার্স অর্গানাইজেশন (ইও) দ্বারা পরিচালিত, বিশ্বের বৃহত্তম বার্ষিক প্রতিযোগিতা যেখানে ছাত্র উদ্যোক্তারা কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার পাশাপাশি তাদের নিজস্ব ব্যবসা পরিচালনা করেন তাদের নিয়ে আয়োজিত গ্লোবাল স্টুডেন্ট এন্টারপ্রেনার্স অ্যাওয়ার্ডস (জিএসইএ)।
২০১৬ সাল থেকে, ইও বাংলাদেশ শিক্ষার্থী উদ্যোক্তাদের জন্য এই ব্যবসা প্রতিযোগিতাটি আয়োজন করে আসছে, যেখানে বিজয়ী শিক্ষার্থী উদ্যোক্তা বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে প্রতিযোগিতা যোগদান করে। ২০১৯ সালে, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের নাজিবা নাইলা ওয়াফা তার ব্যবসা Resurgence এর জন্য জিএসইএ আন্তর্জাতিক ফাইনালে সোশ্যাল ইমপ্যাক্ট প্রাইজ জয় করেন। ইও বাংলাদেশ নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি, ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি এবং ইউল্যাবসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে সচেতনতা প্রচারণা চালিয়েছে।
এ বছর ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক পিএলসির সহযোগিতায় বাংলাদেশ চ্যাপ্টার (ইও বাংলাদেশ) এই প্রতিযোগিতাটি আয়োজন করেছে। গত ৫ জানুয়ারি বিকেল ৫টায় সিক্স সিজনস হোটেলে গ্লোবাল স্টুডেন্ট এন্টারপ্রেনার্স অ্যাওয়ার্ডস (জিএসইএ)-এর
সেমিফাইনাল রাউন্ড অনুষ্ঠিত হয়।
নিট এশিয়া লিমিটেডের পরিচালক এবং জিএসইএ বাংলাদেশের চেয়ারম্যান আমের সলিম এবং তার কো-চেয়ার ও স্ট্যান্ডার্ড গ্রুপের পরিচালক হাসনাত মোশাররফ প্রোগ্রামটির উদ্বোধন করেন।
নয়জন শিক্ষার্থী উদ্যোক্তা সেমিফাইনালে অংশগ্রহণ করে তাদের ব্যবসার ধারণা উপস্থাপন করেন।
অনুষ্ঠানে বিচারক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আর্জেন্টিনায় বাংলাদেশ কনস্যুলেটের কনসাল লিয়ান্দ্রো গাবার্ডি, সাটোরি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও শাওন তানভীর এবং পানামা সোনামসজিদ পোর্ট লিঙ্ক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নওশাবা খান।
এন্টারপ্রেনার্স অর্গানাইজেশন বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট ফাতিন হক এবং ইউসিবির ভাইস প্রেসিডেন্ট মিস্টার সাফাত নেওয়াজ গ্লোবাল স্টুডেন্ট এন্টারপ্রেনার্স অ্যাওয়ার্ডস এর দুইজন ফাইনালিস্টের নাম ঘোষণা করেন। তারা হলেন-সৌমিক হাসান শ্রান্ত এবং মোহাম্মদ মহিউদ্দিন সাওরভ। যারা ১৯ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের গ্র্যান্ড ফাইনালে লড়বেন।
ট্রেড ডিজাইন সলিউশন লিমিটেডের চেয়ারম্যান এবং ইও বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট ফাইনালিস্টদের অভিনন্দন জানান এবং সমাজের সমস্যাগুলোর সমাধান করতে উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য প্রতিযোগীদের প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন।
আন্তর্জাতিকভাবে, জিএসইএ প্রতিবছর প্রথম স্থান বিজয়ীর জন্য ৫০,০০০ মার্কিন ডলার, দ্বিতীয় স্থানের জন্য ২০,০০০ মার্কিন ডলার, এবং তৃতীয় স্থানের জন্য ১০,০০০ মার্কিন ডলার পুরস্কার প্রদান করেন।
১৯৮৭ সালে প্রতিষ্ঠিত ইও ৮৭টি দেশের ২২২টি চ্যাপ্টারে ১৮,০০০-এরও বেশি উদ্যোক্তাদের একটি বৈশ্বিক নেটওয়ার্ক। ইও উদ্যোক্তাদের ব্যবসা বৃদ্ধি এবং সমাজে প্রভাব সৃষ্টিতে সহায়তা করার জন্য উদ্যোক্তা শিক্ষা, সহকর্মী শেখা এবং নেটওয়ার্কিংকে উৎসাহিত করে।