উদ্যোক্তাদের মিলন মেলায় পরিণত হয়েছে বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশনের (বিসিক) ‘স্কিটি উদ্যোক্তা হাট-২০১৯’। মেলায় অংশ নেয়া উদ্যোক্তারা বলছেন উদ্যোক্তাদের জন্য বিসিকের এমন উদ্যোগ সত্যিই প্রশংসার যোগ্য। সেই সঙ্গে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের (স্কিটি) অ্যালামনাইদের অভিনন্দনও জানান উদ্যোক্তারা।
শনিবার থেকে শুরু হওয়া এই উদ্যোক্তা হাটে হরেক রকম দেশীয় পণ্যের পসরা সাজিয়েছেন উদ্যোক্তারা। এর মধ্যে আছে বুটিকস, পাট ও লেদার, রেডিমেট গার্মেন্টস, বেডশিট, হস্তশিল্প, নকশীকাঁথা, বাঁশ, বেত ও শন, কাঠ জাত দ্রব্য, এগ্রো ফুড, মাশরুম, জুয়েলারি, ইলেকট্রনিক্স দ্রব্য, মধু এবং প্লাষ্টিক দ্রব্য সহ বিশাল পণ্য সামগ্রী।
মেলায় সাইদা সুলতানা মিলি তার দয়ীতা স্টলটি সাজিয়েছেন হাতে বানানো টিপ, দেশীয় গহনা দিয়ে। খলিলুর রহমান মজুমদার তার স্টল আঙ্গিপাঞ্চি সাজিয়েছেন শাড়ি, বুটিকস, তাঁতের পাঞ্জাবি বাটিকের শাড়ি, বেনারশি শাড়ি দিয়ে।
শাড়ি কাপড়ের বাইরে থেকে সাইফুল ইসলাম শাওন তার এসআই উড ক্রাফট সাজিয়েছেন গিফট আইটেম দিয়ে। যেমন চাবির রিং,কলম দানি ইত্যাদি। মনিরুজ্জামান শেরনিয়াবাত নিজের জাত চিনিয়েছেন ‘পরিচয় গ্রীন নার্সারি’ দিয়ে। তার নার্সারিতে আছে গোলাপ গাছ, পেঁপে, পেয়ারা।
ম ম এগ্রোর বাদশা মিয়া হরেক রকম মধু নিয়ে সাজিয়েছেন স্টল। আজাদ মোল্লার যাকারিয়া মৌ খামারে আছে মধুর কালেকশন। কালো জিরা, সরিষা ফুলের মধু, গাছের চাকের মধু। সুন্দরবন বি এন্ড হানি ফার্ম লিমিটেডের শেখ নুরুল হূদা মধুর কালেকশনেও আছে নানান রকমের মধু।
পিপলস্ ফুটওয়্যার এন্ড লেদার গুডসের রেজবিন হাফিজ কাজ করছেন চামড়ার তৈরি জুতা, ব্যাগ,মানিব্যাগ,বেল্ট নিয়ে। তামান্না ইসলাম অলি তার অচিন স্টলটি সাজিয়েছেন জামদানি ও কাতান শাড়ি এবং কাতান ড্রেস নিয়ে।
‘বিউটিফুল ইউ’ স্টলের নামের সঙ্গে নিজের পণ্যের সৌন্দর্য ফুটিয়ে তুলেছেন শারমিন সিথি। তার স্টলে আছে থ্রি পিছ,শাড়ি, বেড শিট ইত্যাদি। ‘লেডিস বুথ’ স্টলের জাহিদুল ইসলাম জাহিদ সাজিয়েছেন থ্রি পিছ, বেড শিট,কসমেটিক্স ইত্যাদি।
জীনাত লাইফ স্টাইলের জীনাত রেহানা নিজের স্টল সাজিয়েছের থ্রি পিছ, কসমেটিক্স বেড শিট, দিয়ে।
ঘরোয়া ফ্যাশনের কোহিনুর কনা স্টলটি সাজিয়েছেন শাড়ি, কুশন কভার, ল্যাপটপ কভার, রুটি বক্স ইত্যাদি দিয়ে। সিমি’স কালেকশনের সানজিদা চৌধুরী সাজিয়েছেন বুটিকস, স্কিন প্রিন্ট, তাঁতের কাপড় ও ব্লক দিয়ে, কারু শৈলী কুটির শিল্পের শারমিন আক্তার ওয়ান পিস, টু পিস, থ্রি পিছ স্টলে তুলেছেন।
শাওন ক্রাফটের আনোয়ার আক্তার শিউলি সাজিয়েছন ওয়ান পিছ, টু পিছ, থ্রি পিছ, আবায়া দিয়ে। ৭১ ফুড কর্নারের মো. নাহিদ বাহারি খাবারের পসরা সাজিয়েছেন যার মধ্যে আছে মিষ্টি, পুডিং, পাটি শাপটা ও নানান পিঠা। কেক লাভারসের ফাতেমা আক্তার কেকের পসরা সাজিয়েছেন। সব ধরনের কেকের অর্ডার নেয়া হয় বলেও জানান তিনি।
লাবণ্য ক্রাফটসের লাবনী আহমেদ সাজিয়েছেন চাদর, নকশি কাঁথা, ব্লক বাটিকস ও এপ্লিকের ড্রেস দিয়ে।আধুনিকা শাড়ির প্রনীতা সরকার তুলেছেন জামদানি শাড়ি, হ্যান্ড ব্যাগ ও নকশি কাঁথা। মাকসুদা আক্তারের মুক্ত স্বাধীন বেবি প্রডাক্ট, বেবি শাড়ি, ফ্রগ, সেলোয়ার কামিজ তুলেছেন। এছাড়াও নকশিকাঁথা রয়েছে।
ইভ ফ্যাশনের ইব্রাহিম খলিল শট ফতুয়া, প্লাজো, সিঙ্গেল কামিজ, জর্জেটের কামিজ তুলেছেন।
ব্রততী বুটিক হাউজের বিধান কুমার সাহা স্টলটি সাজিয়েছেন শাড়ি, ওয়ান পিছ, বেডশিট, কুসন কভার দিয়ে।পারভীন আক্তারের রাজশাহী নকশি ঘরে রয়েছে ডাইনিং টেবিলের পাপশ, নকশি কাঁথা, শতরঞ্জি, পাটের খার। এছাড়াও কিছু শোপিস তৈরি করে থাকেন তিনি।
মো. মাহমুদুল হাসান আজাদের পাটের জন্য ভালোবাসা স্টলটি সাজিয়েছেন পাটজাত তৈরি জেন্টস ব্যাগ, স্কুল কলেজর ব্যাগ, ফরেন ব্যাগ ইত্যাদি হস্ত কুটির শিল্প দিয়ে। ফাইন ফেয়ার ক্রাফটের সাহানা বেগম পাটের তৈরি ব্যাগ দিয়ে স্টল সাজিয়েছেন। সৈয়দা ফারজানা ইয়াসমিন তার ফারজানাস জুট এন্ড ক্রাফটে তুলেছেন পাটের পণ্য।
শৈাখিন স্টলটি জান্নাত সিনথিয়া সাজিয়েছেন জুয়েলারি নিয়ে আরও আছে হ্যান্ডিক্রাফট, কাঠের চুড়ি, হ্যান্ড পেইন্ট চুড়ি, গামছা চুড়ি ইত্যাদি।
মেলায় অংশ নেয়া উদ্যোক্তারা বলছেন, তারা সন্তুষ্ট, এমন আয়োজনে, বিক্রিও ভালো হচ্ছে। এমন আয়োজনটা পরিণত হয় উদ্যোক্তাদের মিলন মেলায়। উদ্যোক্তদের অনুপ্রাণিত করেছে ‘উদ্যোক্তা হাট’। তাই তারা সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ জানান।
হৃদয় সম্রাট