চট্টগ্রামের উদ্যোক্তা জান্নাতুল ফেরদৌস সুপ্তি ১৯৯৮ সালে যখন শিক্ষার্থী ছিলেন তখন থেকেই তার একটা স্বপ্ন ছিলো নিজের পায়ে দাঁড়াবেন, নিজে কিছু করবেন।
তবে সেসময় উদ্যোক্তা কাকে বলে এতো প্রচলন ছিলো না, সেই সময় নারীদের একটা ব্যবসা করা খুব কঠিন ব্যাপার ছিলো, সামাজিক, পারিবারিক বিভিন্ন রকম বাধা পোহাতে হতো, এতটা সহজ ছিলো না। অনেক সংগ্রাম করে একটা ব্যবসা করার চিন্তা করলেন উদ্যোক্তা সুপ্তি।
কিছু লোক জনের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করার লক্ষ্য, সমাজের দুস্থ মানুষের পাশে দাঁড়ানোর সৌভাগ্য হবে। আশে পাশের মানুষদের কে নিয়ে এক সাথে কি ভাবে কাজ করা যায়।
সুপ্তি শুরু করলেন ”সুপ্তি’স ক্রিয়েশন”। দু-চারটা কাজ দিয়ে শুরু হল ব্যবসা।
তারপর আর পিছনে ফিরে তাকাতে হলো না ব্যবসার পরিধি বাড়তে থাকে ধীরে ধীরে, বিভিন্ন অনুষ্ঠানের সময় মেয়েদের কিছু নতুন পোশাকের প্রয়োজন হলে সবাই সুপ্তি ক্রিয়েশনে যায়।
সততার সাথে সুনাম অর্জন করতে থাকে সুপ্তি ক্রিয়েশন, বাড়তে থাকে জনবল, প্রোডাকশন এবং বাড়তে থাকে কাজে গতি।
সুপ্তি উদ্যোক্তা বার্তাকে বলেন, ‘এখন কাজের পরিধি ও বেড়েছে অনেক গুনে, পরিশ্রম করলে কোন কাজই আটকে থাকে না। দু- চারটা অর্ডার থেকে এখন শত শত অর্ডার মিলেছে’।
নিজের কাজের ফাঁকে ফ্যাশন ডিজাইনার কোর্স সম্পন্ন করলেন। এক সাথে ২৫ জন ট্রেনিং সম্পন্ন করলেন। তার মধ্যে ছয় ফ্যাশন ডিজাইনারা মিলে আমিন সেন্টারে শোরুম দিলেন বিভিন্ন রকম পোশাকের বিশেষ করে নারীদের। সাথে সুপ্তি ক্রিয়েশনে পোশাকের সমাহারের দেখা মিলে নারীদের পোশাক।
সুপ্তি’স ক্রিয়েশনে আছে শাড়ীর উপর হাতের কাজ,
সালোয়ার, কটি, থ্রি পিচ, ওয়ান পিচ, জরির কাজ,
কাপড়ের ফুল, কাপড়ের উপর বিভিন্ন ডিজাইন
ফুটিয়ে তোলা হয়।
উদ্যোক্তা নিজে ও তার বিশাল কর্মী বাহিনী দিয়ে মহাসমারোহে কাজ করে চলেছেন।
সম্প্রতি শেষ হওয়া গোল পাহাড় মোড় চিটাগাং লাউঞ্জে তিন দিন ব্যাপী মেলায় স্টল দিয়েছিলেন সুপ্তি।
জানতে চাইলে তিনি বলেন, মেলায় ভাল সাড়া মিলল, সামনে ঈদুল আযহা তাই নতুন নতুন পণ্য তৈরী করেছেন, তাই ভালো কিছু অর্ডার পেয়েছেন।
সুপ্তি বলেন, দেশি পণ্যে ব্যবহার করুন দেশের সাথে থাকুন, দেশি পোশাকে যে গাঢ় রং ব্যবহার করা হয় সেই গুলো স্বাস্থ্যসম্মত। বাংলাদেশের আবহাওয়ার কথা চিন্তা করে, কটন, সিন্থেটিক, সুতি কাপড় দিয়ে পোশাক বানানো হয় সুপ্তি ক্রিয়েশনে।
বহু মানুষের কর্মের বলীয়ান এ পণ্য ক্রয় করে কর্মীর হাত শক্তিশালী করবে দেশের মানুষেরা এমনটাই উদ্যোক্তার আশা।
কোরবান আষাঢ়