জুলাইয়ের অভ্যুত্থানের অন্যতম প্রধান কারণ ছিল বেকারত্ব, এবং এ সমস্যাকে মোকাবিলা করাই এখন সরকারের অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ বলে মন্তব্য করেছেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) সম্মেলনকক্ষে আয়োজিত “যুব উদ্যোক্তা: বিনিয়োগ ও পলিসি” শীর্ষক এক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আসিফ মাহমুদ বলেন, “যুবদের কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি এবং উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।” তিনি জানান, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের মাধ্যমে তরুণ উদ্যোক্তাদের ঋণ সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। ইতোমধ্যে উদ্যোক্তা ঋণের সর্বোচ্চ সীমা ২ লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫ লাখ টাকায় উন্নীত করা হয়েছে। ভবিষ্যতে এই সীমা আরও বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে।
তিনি আরও জানান, “যুব উদ্যোক্তা উন্নয়ন নীতিমালা ২০২৫” উপদেষ্টা পরিষদ থেকে অনুমোদন পেয়েছে এবং অচিরেই তা বাস্তবায়ন করা হবে।
বাংলাদেশের বর্তমান জনগোষ্ঠীর প্রায় ৬৩ শতাংশ তরুণ। এ প্রসঙ্গে উপদেষ্টা বলেন, “এই বিপুল তরুণ জনশক্তিকে যদি সঠিকভাবে কাজে লাগানো না যায়, তাহলে ভবিষ্যতে আমরা বড় সংকটে পড়তে পারি। বর্তমান বাস্তবতায় আমাদের উদ্যোক্তাদের সহযোগিতা করতেই হবে।
কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রীর ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। তিনি বলেন, “বাংলাদেশে এখনো কার্যকর স্টার্টআপ ইকোসিস্টেম গড়ে ওঠেনি। আমাদের স্কুল পর্যায় থেকেই এই উদ্যোগ শুরু করতে হবে। তরুণদের একটি শক্তিশালী পাইপলাইনে আনতে হবে এবং বিভাগীয় ও মফস্বল অঞ্চলেও সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনায় কাজ করতে হবে।”
এই কর্মশালায় অংশগ্রহণকারী বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, বাংলাদেশে উদ্যোক্তা উন্নয়নের জন্য সরকার যেসব পদক্ষেপ নিচ্ছে তা আশাব্যঞ্জক। তবে এই উদ্যোগগুলোকে সফল করতে হলে নীতিগত স্পষ্টতা, বাস্তবায়নে গতি এবং প্রান্তিক পর্যায়ে তরুণদের অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করা জরুরি।