মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক পিএলসি (এমটিবি) পরিচালিত এমটিবি এয়ার লাউঞ্জ ‘মনিটর এয়ারলাইন অব দ্য ইয়ার ২০২৪’ পুরস্কার অনুষ্ঠানে ‘সেরা এয়ারপোর্ট লাউঞ্জ (বাংলাদেশ)’ ক্যাটাগরিতে সর্বোচ্চ সম্মান গোল্ড অ্যাওয়ার্ড অর্জন করেছে।
ঢাকায় আয়োজিত এই অনুষ্ঠানটি বাংলাদেশের বিমান পরিবহন খাতের অন্যতম মর্যাদাসম্পন্ন স্বীকৃতি হিসেবে বিবেচিত। এই পুরস্কার এমটিবি’র ভ্রমণ অভিজ্ঞতা উন্নয়নে নেওয়া বিশেষ উদ্যোগ এবং আন্তর্জাতিক মানের লাউঞ্জ সেবা প্রদানের প্রতিশ্রুতির একটি অনন্য স্বীকৃতি। অত্যাধুনিক সুযোগ-সুবিধা, উন্নত সেবা এবং স্নিগ্ধ পরিবেশের কারণে এমটিবি এয়ার লাউঞ্জ বর্তমানে অভিজাত ভ্রমণকারীদের মধ্যে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে।
এমটিবি বর্তমানে ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, কক্সবাজার, সৈয়দপুর ও যশোর সহ গুরুত্বপূর্ণ বিমানবন্দরগুলোতে মোট ৮টি এক্সক্লুসিভ এয়ার লাউঞ্জ পরিচালনা করছে। এসব লাউঞ্জে যাত্রীরা আন্তর্জাতিক মানের পরিষেবা উপভোগ করতে পারেন, যার মধ্যে রয়েছে_
* আরামদায়ক বসার জায়গা
* উন্নতমানের খাবার ও পানীয়
* হাই-স্পিড ইন্টারনেট সংযোগ
* কর্মব্যস্ত যাত্রীদের জন্য ওয়র্কস্টেশন
* নির্বিচারে গ্রাহকসেবা ও আতিথেয়তা
ঢাকার এক অভিজাত হোটেলে অনুষ্ঠিত পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মোঃ ফাহিমুল ইসলাম, সচিব, রেলপথ মন্ত্রণালয়। এছাড়াও এভিয়েশন, ব্যাংকিং ও হসপিটালিটি খাতের শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তিত্বরা অংশগ্রহণ করেন।
এমটিবি’র পক্ষ থেকে পুরস্কার গ্রহণ করেন_মোঃ বখতেয়ার হোসেন, উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও চিফ অপারেটিং অফিসার (সিওও), মোঃ আবু বকর সিদ্দিক, হেড অব কার্ডস, মোঃ রোজার ইবনে আজাদ, হেড অব এমটিবি এয়ার লাউঞ্জ, তাহসিন শাহিদ, হেড অব রিটেইল বিজনেস।
এমটিবি এয়ার লাউঞ্জ এমন একটি প্রিমিয়াম স্পেস হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, যেখানে যাত্রীরা তাদের ফ্লাইটের আগে একটি পরিপূর্ণ, প্রশান্ত ও স্মরণীয় অভিজ্ঞতা গ্রহণ করতে পারেন। শুধু এমটিবি কার্ডধারীরাই নয়, নিবন্ধিত লাউঞ্জ সদস্যরাও এই বিশেষ সুবিধা উপভোগ করতে পারেন।
এমটিবি কর্তৃপক্ষ জানান_“এই অর্জন কেবল একটি পুরস্কার নয়, বরং আমাদের গ্রাহকদের প্রতি দায়বদ্ধতা এবং ভ্রমণসেবাকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করার আমাদের ধারাবাহিক প্রয়াসেরই প্রতিফলন। আমরা চাই, গ্রাহকের প্রতিটি যাত্রা হোক স্বাচ্ছন্দ্যময় ও স্মরণীয়।”
এই অর্জন প্রমাণ করে যে এমটিবি শুধুমাত্র আর্থিক খাতেই নয়, বরং ভ্রমণ, আতিথেয়তা ও গ্রাহকসেবা খাতেও অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে—যা ভবিষ্যতে দেশের এভিয়েশন সেক্টরের উন্নয়নে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।