Homeআন্তর্জাতিক সংবাদ২০২৯ পর্যন্ত শুল্কমুক্ত রপ্তানি সুবিধা অব্যাহত থাকবে: ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক

২০২৯ পর্যন্ত শুল্কমুক্ত রপ্তানি সুবিধা অব্যাহত থাকবে: ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক

বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য, বিনিয়োগ এবং অংশীদারিত্ব আরও গভীর ও কার্যকর করতে পারস্পরিক সহযোগিতার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক।
মঙ্গল্বার (২৪ জুন) রাজধানীর গুলশানে আইসিসিবি (ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্স বাংলাদেশ) কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।
বৈঠকে আইসিসিবি’র সভাপতি মাহবুবুর রহমান, সহসভাপতি এ কে আজাদ ও নাসের এজাজ বিজয়সহ নির্বাহী বোর্ডের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

হাইকমিশনার সারাহ কুক বাংলাদেশের এলডিসি (স্বল্পোন্নত দেশ) থেকে উত্তরণের অগ্রগতির প্রশংসা করে বলেন, “এই রূপান্তরের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে রপ্তানি বৈচিত্র্যকরণ ও দক্ষতা উন্নয়ন জরুরি।”

তিনি জানান, ডেভেলপিং কান্ট্রিজ ট্রেডিং স্কিম (DCTS)–এর আওতায় ২০২৯ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের ৯৯.৮% পণ্য যুক্তরাজ্যে শুল্কমুক্ত সুবিধা পাবে। ২০২৯ সালের পরও ৯২% পণ্যে, বিশেষ করে তৈরি পোশাকে, এই সুবিধা অব্যাহত থাকবে।

ভবিষ্যৎ সহযোগিতার ক্ষেত্র হিসেবে তিনি উচ্চশিক্ষা, জলবায়ু অর্থায়ন, নবায়নযোগ্য জ্বালানি ও বিমান চলাচল খাতকে বিশেষভাবে গুরুত্ব দেন। এছাড়া তিনি নারী উদ্যোক্তাদের ক্ষমতায়ন এবং যুক্তরাজ্যের বাজারে তাদের প্রবেশাধিকার সহজ করতে গৃহীত নানা উদ্যোগের কথাও তুলে ধরেন।

আইসিসিবি’র পক্ষ থেকে দক্ষতা উন্নয়ন, সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং উচ্চশিক্ষায় বৃত্তি প্রবর্তনে যুক্তরাজ্যের সহায়তা বৃদ্ধির আহ্বান জানানো হয়। সভাপতি মাহবুবুর রহমান বলেন, “যুক্তরাজ্য দীর্ঘদিন ধরেই বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ রপ্তানি গন্তব্য। তৈরি পোশাক ছাড়াও আর্থিক সেবা, জ্বালানি ও শিক্ষা খাতে ব্রিটিশ কোম্পানিগুলোর সক্রিয় অংশগ্রহণ রয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তন ও টেকসই উন্নয়ন—এই বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় যুক্তরাজ্যের সঙ্গে আরও নিবিড় অর্থনৈতিক অংশীদারত্ব গড়ে তোলার সুযোগ রয়েছে।”

বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন:
আব্দুল হাই সরকার, আফতাব উল ইসলাম, আনোয়ার-উল-আলম চৌধুরী, মো. ফজলুল হক, মীর নাসির হোসেন, সাঈদ আহমেদ, শওকত আজিজ রাসেল, সিমিন রহমান, ব্যাংকিং কমিশনের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ এ (রুমি) আলী, ডিবিএল গ্রুপের এমডি এম এ জব্বার এবং আইসিসিবি’র মহাসচিব আতাউর রহমান। ব্রিটিশ হাইকমিশনের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি ডিরেক্টর (ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট) সাইয়াব আমল আহমেদ।

বৈঠকে উভয় পক্ষই বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্য অংশীদারিত্ব আরও শক্তিশালী করতে সম্মিলিতভাবে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -

Most Popular

Recent Comments