সুপরিচিত অনলাইন ফ্যাশন উদ্যোগ সুতলি এবং আরো ১৩জন উদ্যোক্তার বৈচিত্র্যময় পণ্য মিলবে সুতলির পণ্যশালায়।
সুতলির শুরুটা মেয়েদের পোশাক দিয়ে হলেও লেদার – জুটের সংমিশ্রণে ব্যাগ, ওভারকোট নিয়ে আসে এবং অনলাইনেই বেশ পরিচিত সুতলি। এবার সুতলি নামেই শুরু হয়েছে নতুন আউটলেটের পথচলা। সুতলির ব্যানারে আরো ১৩ উদ্যোক্তার বৈচিত্র্যময় পণ্য থাকছে সুতলি স্টোরে।
মিরপুর সাড়ে ১১, ১৪৮ নং বাড়ির নিচতলায়, ঢুকতেই চোখে পড়বে নজরকাড়া রিক্সাপেইন্টের ওয়ালপেইন্টিং, আর একটু এগিয়ে দরজা পেরোলেই চোখে পড়বে বস্ত্র সম্ভার সাথে রয়েছে আচার, বাঁশ বেত পণ্য, জুট ও লেদারের কম্বিনেশনে আকষর্ণীয় ব্যাগ, মেটাল – হ্যান্ডমেড জুয়েলারি, বিউটি ও হেয়ার প্রোডাক্ট অর্থাৎ এক ছাদের নিচে সব।
এছাড়াও লেডিস পোশাক, তাঁত ও মণিপুড়ি শাড়ী, বেবিড্রেস, বিডসের গহনা, জেন্টস আইটেম মিলবে সুতলির পণ্যশালায়।
সুতলির নিজস্ব ব্র্যান্ডের পাশাপাশি রয়েছে আচারিয়ানা, বুনো, কারুকাব্য, ত্রিনিত্রি, মল্লিকা, পালংকিয়ং, সুতন্তু, দেশী বুনন,পুকিজ এন্ড পাইরেটস, ইনফরমেল, ব্রেথ, ক্যাটার ফ্লাই, ইন্টিমা ও হেনা সাপ্লায়ার।
সুতলি ইতিমধ্যেই ফ্যাশনপ্রিয়দের কাছে পরিচিত একটি নাম। সুতলির নেপথ্যে আছেন রিফাত আনোয়ার লোপা। লিঙ্গুইসটিক্স সাবজেক্ট নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা সম্পন্ন করেন। একটি বেসরকারি টেলিভিশনে চাকরির পাশাপাশি উদ্যোক্তা হিসেবে বেশ পরিচিতি অর্জন করেন। ২০১৬ সাল থেকে সুতলি নিয়ে তার পথচলা শুরু।
সুতলিকে অফলাইনে নিয়ে আসার প্রসঙ্গে উদ্যোক্তা লোপা বলেন, আমি বছরে ২/৩ টা মেলায় অংশ নিতাম এতে ক্রেতারা আমার প্রোডাক্টকে ধরে বাছাই করে নিতে পারে যেটা অনলাইনে সম্ভব হয় না তাই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম অফলাইনে আসবো। কিন্তু সুতলি ফেব্রিক্স নিয়ে কাজ করে, শুধু ফেব্রিক্স নিতে স্টোরে খুব একটা আসবে কি না তাই সিদ্বান্ত নেই সব সেক্টর থেকে এক্সক্লুসিভ পণ্যগুলো আমার সুতলিতে রাখতে চেয়েছি এবং এক্ষেত্রে উদ্যোক্তাদের অনেক ভালো সাড়া পেয়েছি।
সুতলি স্টোর নিয়ে ভবিষ্যত প্ল্যানিং প্রসঙ্গে এই উদ্যোক্তা জানান, আগামীতে ইচ্ছা আছে সুতলিতে বুক স্টোরের পাশাপাশি কফি শপ থাকবে এবং স্টোরকে আরো বড় পরিসরে নিতে চান উদ্যোক্তা লোপা।
সেতু ইসরাত
উদ্যোক্তা বার্তা