“অধিকার, সমতা, ক্ষমতায়ন নারী ও কন্যার উন্নয়ন”- প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে প্রতিবছরের মতো ৮ মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবস পালন করে সেন্টার ফর পলিসি এন্ড ডেভেলপমেন্ট রিসার্চ (সিপিডিআর) এবং দিবস উপলক্ষ্যে ৮ সফল নারী উদ্যোক্তাকে সম্মাননা দেয়া হয়।
৮ মার্চ শনিবার, উত্তরা অফিসার্স ক্লাবে সেন্টার ফর পলিসি এন্ড ডেভেলপমেন্ট রিসার্চ (সিপিডিআর), উত্তরা অফিসার্স ক্লাব (মহিলা উপকমিটি) ও আইপাস বাংলাদেশ এর যৌথ উদ্যোগে নারী দিবস উপলক্ষ্যে দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
সিপিডিআরের অধীনে পরিচালিত ‘সেট প্রোগ্রাম ফর উইমেন’ এর বিভিন্ন ব্যাচে অংশগ্রহণকারি প্রশিক্ষনার্থী, বিভিন্ন ট্রেডের প্রশিক্ষক, কারিগরি টামের সদস্য, সরকারি-বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং শতাধিক নারী উদ্যোক্তা এ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সিপিডিআরের নির্বাহী পরিচালক ও সাবেক সচিব ড.আবুল হোসেন, উত্তরা অফিসার্স ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক অতিরিক্ত সচিব ড. শাহনওয়াজ দিলরুবা খান, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক আবুল কালাম শামসুদ্দিন, বাংলাদেশ বেতারের অতিরিক্ত মহাপরিচালক আবদুল হক, কর্মসংস্থান ব্যাংকের মহাপরিচালক মাহমুদা ইসলাম, আইপাস বাংলাদেশের সিনিয়র টেকনিক্যাল এডভাইজার ফারহানা জেসমিন হাসান, লরেটো লন্ডনের ইন্টারন্যাশনাল ফ্যাশন ডিজাইনার রোজা আফরোজা, জুট ডাইভারসিফিকেশন প্রমোশন সেন্টারের সিনিয়র প্রশিক্ষক মোঃশামীম আহম্মেদ।
অনুষ্ঠান উপলক্ষ্যে নারী উদ্যোক্তাদের উৎপাদিত পণ্যের প্রদশনীর আয়োজন করা হয়।
নারী দিবস উপলক্ষ্যে যেসব নারী পারিবারিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক প্রতিবন্ধকতা অতিক্রম করে সফল উদ্যোক্তা হিসেবে সুনাম অর্জন করেছেন এরূপ ৮ জন সফল নারীকে “সেট অপরাজিতা এ্যাওয়ার্ড ২০২৫” প্রদান করা হয়।
এ্যাওয়ার্ডপ্রাপ্ত আটজন নারী উদ্যোক্তণ হলেনঃ ফাতেমা সাইয়েদা (গহনা তৈরি); ইফফাত বেনিন পিয়াল (পাটপণ্য); মাজিয়া বেগম (ভিডিও এডিটিং); সাদিকা তামান্না (সাপ্লাই চেইন ম্যানেজমেন্ট); তুসমী তাহের নোভা (ডিজিটাল মার্কেটিং); হৈমন্তী বিশ্বাস (হাউজকিপিং এন্ড কেয়ারকিপিং); জান্নাতুল ফেরদৌস সুইট (গ্রাফিকস ডিজাইন); এবং সেলিনা আক্তার (মাশরুশ চাষ ও মৌমাছি পালন)।
২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে সিপিডিআরের উদ্যোগে নারীর স্বনির্ভরতায় ই-প্রশিক্ষণ কর্মসূচি চালু হয়। ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ২৫ টি ট্রেডে প্রায় ৩০ হাজার নারীকে অনলাইন প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয় যাদের মধ্যে অনেকেই অনলাইনে ব্যবসা করে সফল হয়েছেন।
দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের নারীরা পারিবারিক কাজের পাশাপাশি সহজেই অনলাইনে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে উদ্যোক্তা হয়ে অনলাইন-অফলাইনে ব্যবসা করতে পারেন এবং দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারেন এক্ষেত্রে সরকারের আর্থিক সহায়তা পেলে বাংলাদেশের বিপুল সংখ্যক নারীকে প্রশিক্ষণ প্রদান করে তাদের অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন ও সমাজে নারী-পুরুষের বিদ্যমান বৈষম্য বহুলাংশে হ্রাস করা যেতে পারে বলে মনে করে সিপিডিআর।
সেতু ইসরাত, উদ্যোক্তা বার্তা