সরকার সম্প্রতি স্থানীয় ব্যবসায়ী তথা খুচরা পর্যায়ের বিক্রির ক্ষেত্রে সব পণ্যে ভ্যাটহার ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ করেছে।
স্থানীয় ব্যবসায়ী তথা খুচরা পর্যায়ে ত্বকের যত্ন ও রূপচর্চায় ব্যবহৃত বিভিন্ন প্রসাধনপণ্য বিক্রিতে বাড়তি যে আড়াই শতাংশ ভ্যাট আরোপ করা হয়েছে, তা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে অ্যাসোসিয়েশন অব স্কিন কেয়ার অ্যান্ড বিউটি প্রোডাক্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অব বাংলাদেশ।
এএসসিবিপিএমইএবি এক বিবৃতিতে বলেছে, দেশে যখন স্কিন কেয়ার, হেয়ার কেয়ার, হোম অ্যান্ড পার্সোনাল কেয়ার, বিউটি প্রোডাক্ট ও প্রসাধনপণ্য খাতে নতুন বিনিয়োগ আসছে, তখন ভ্যাট বাড়ানো হয়েছে। এতে খুচরা পর্যায়ে এসব পণ্য বিক্রিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। বিশেষ করে উৎপাদন ও কর্মসংস্থান কমবে।
এএসসিবিপিএমইএবি’র সাধারণ সম্পাদক জামাল উদ্দীন এক বিবৃতিতে বলেন, দেশে অনেক ব্যবসা আছে, যারা নিয়মিত ভ্যাট-ট্যাক্স দিচ্ছে না। যেমন স্কিন কেয়ার ও কসমেটিকস বা ত্বকের পরিচর্যা ও প্রসাধন–জাতীয় পণ্যগুলোর অধিকাংশ চোরাই পথে বিনা শুল্কে দেশের বাজারে ঢুকছে। ফলে যাঁরা নিয়মিত ভ্যাট-ট্যাক্স পরিশোধ করেন, তাঁদের উৎপাদিত পণ্য চোরাই পথে আসা পণ্যের সঙ্গে একটি অসম প্রতিযোগিতার মুখে পড়বে। এতে দেশীয় পণ্যের টিকে থাকা মুশকিল হবে। সে জন্য ভ্যাটের হার কমিয়ে সবার কাছ থেকে ভ্যাট আদায়ের ব্যবস্থা সুসংহত করা দরকার।