শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন এমপি বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর পদাঙ্ক অনুসরণ করেই তার সুযোগ্য উত্তরাধিকার প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা যখন শিল্প-সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন, ঠিক তখনই স্বাধীনতাবিরোধীরা দেশে অস্থিরতা সৃষ্টির পাঁয়তারা চালাচ্ছে। তাই দেশের উন্নয়ন-অগ্রগতি যাতে কোনভাবেই থেমে না যায় সেজন্য সকলকে সতর্ক থাকতে হবে, দেশকে মনেপ্রাণে ভালবাসতে হবে এবং দেশের সার্বিক কল্যাণে আন্তরিকভাবে কাজ করতে হবে।
শিল্প মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ‘শেখ রাসেল দিবস-২০২৩’ উদযাপন উপলক্ষে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় শিল্পমন্ত্রী এসব কথা বলেন। শিল্প মন্ত্রণালয়ে আজ এ অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়।
শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জাকিয়া সুলতানার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার এমপি। শিল্প মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং বিভিন্ন দপ্তর সংস্থার প্রধানরা এসময় উপস্থিত ছিলেন।
শিল্পমন্ত্রী আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ এক ও অভিন্ন। তাই আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম যাতে বঙ্গবন্ধুর নীতি, আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বেড়ে উঠতে পারে সে লক্ষ্যে সকলকে উদ্যোগী হতে হবে। আমাদের নতুন প্রজন্মকে দেশের প্রকৃত ইতিহাস জানাতে হবে, মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় তাদেরকে সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে সংবিধান অনুযায়ী, এর কোন ব্যতিক্রম হবে না।
বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার এমপি বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ঘাতকরা বঙ্গবন্ধুর পরিবারকে সমূলে নির্মূল করতেই পূর্বপরিকল্পিতভাবে নির্মমভাবে হত্যা করেছিল। দেশের বাইরে থাকার কারণে বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা সেদিন প্রাণে বেঁচে গিয়েছিলেন। আজ যারা মানবতার কথা বলেন ১৯৭৫ সালে তাদের মানবতা কোথায় ছিল? যারা ফিলিস্তিনসহ বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় নির্বিচারে মানুষকে হত্যা করছে তাদের মুখে মানবতার কথা মানায় না।
তিনি আরও বলেন, জিয়াউর রহমানই হ্যাঁ-না ভোটের মাধ্যমে গণতন্ত্রকে হত্যা করেছিল, গ্রামে-গঞ্জে উন্নয়নের নামে মদ-জুয়া-হাউজি চালু করেছিল। তার ছেলে তারেক রহমান এখন দেশের বাইরে থেকে বড় বড় কথা বলে। সৎ সাহস থাকলে সে নিজের মাকে দেখতে এবং মামলা মোকাবেলা করতে অবশ্যই দেশে আসত।
সভাপতির বক্তৃতায় সিনিয়র শিল্প সচিব জাকিয়া সুলতানা বলেন, শেখ রাসেলকে মাত্র ১০ বছর বয়সেই ঘাতকরা নির্মমভাবে হত্যা করেছে। প্রতিভাবান শেখ রাসেল বেঁচে থাকলে নিজেকে এক অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যেতেন। দেশ ও জাতির কল্যাণে কাজ করতেন, দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতি আরো তরান্বিত হতো। তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে বুকে ধারণ করে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে সবাইকে নিজ নিজ অবস্থানে থেকেই মানবকল্যাণে আন্তরিকভাবে কাজ করতে হবে। দেশের উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রাকে অব্যহত রাখতে হবে এবং সকলের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় গড়ে তুলতে হবে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা তথা স্মার্ট বাংলাদেশ।
এর আগে শিল্প মন্ত্রণালয়ের নীচ তলার লবিতে স্থাপিত শেখ রাসেল এর প্রতিকৃতিতে শিল্পমন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবসহ শিল্প মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং বিভিন্ন দপ্তর সংস্থার প্রধানরা পুষ্পস্তবক অর্পন করেন।
ডেস্ক রিপোর্ট
উদ্যোক্তা বার্তা