টানা কয়েক মাসের তীব্র প্রতিযোগিতা, নানা চমক, সাফল্য-ব্যর্থতার গল্প আর রান্নার বর্ণিল উপস্থাপনার মধ্য দিয়ে শেষ হলো দেশের জনপ্রিয় রান্না বিষয়ক রিয়েলিটি শো ‘সেরা রাধুনী’ সিজন ৮। এবারের প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্বে চারটি কঠিন চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করে বিচারকদের রায়ে বিজয়ীর মুকুট ছিনিয়ে নিলেন নারায়ণগঞ্জের প্রতিভাবান রন্ধনশিল্পী নিশাত আনজুম।
প্রথম রানার-আপ হয়েছেন তামান্না ইয়াসমিন, এবং দ্বিতীয় রানার-আপ হয়েছেন জোয়াইরিয়া কামাল। তিনজন বিজয়ীকে যথাক্রমে ১৫ লক্ষ, ১০ লক্ষ এবং ৫ লক্ষ টাকার সম্মাননা পুরস্কার প্রদান করা হয়।
চূড়ান্ত পর্বের এই গ্র্যান্ড ফিনালে অনুষ্ঠিত হয় রাজধানীর চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে। আয়োজনে ছিলো বর্ণাঢ্যতা, আবেগ, এবং রান্নার প্রতি প্রতিযোগীদের গভীর ভালোবাসার প্রকাশ।
এবারের সিজনের বিশেষ দিক ছিল এর বৈচিত্র্যময় আয়োজন ও বিস্তৃত পরিসর। ‘সারাদেশে ছড়িয়ে যাবে আপনার রান্নার স্বাদ’—এই স্লোগানে হাজার হাজার আবেদনকারীর মধ্য থেকে প্রাথমিকভাবে বাছাই করা হয় ৪৮ জন প্রতিযোগীকে। গ্র্যান্ড অডিশনের মাধ্যমে নির্বাচিত হয় সেরা ২০। এরপর একে একে কঠিন সব ধাপ পেরিয়ে উঠে আসেন সেরা ৩।
দেশি-বিদেশি, আঞ্চলিক-ফিউশন সব ধরনের রান্নার কৌশল ও সৃজনশীল উপস্থাপনার মাধ্যমে এবারের সিজন হয়ে ওঠে সত্যিকারের ‘রান্নার মহাযুদ্ধ’।
বিজয়ী নিশাত আনজুম বলেন,
“আমি যেহেতু কালিনারি সেক্টরে কাজ করি, তাই একটা অর্জন আমার জন্য খুব দরকার ছিল। ‘সেরা রাধুনি’ আমাকে সেই সম্মান দিয়েছে। আমি চাই এখন এই অর্জনকে ভিত্তি করে ভবিষ্যতে আরও বড় কিছু করতে।”
গার্হস্থ্য জীবনের গণ্ডি পেরিয়ে রান্নাকে একটি সম্ভাবনাময় পেশা ও উদ্যোক্তা ক্ষেত্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্য নিয়ে দুই দশক ধরে কাজ করে যাচ্ছে আয়োজক স্কয়ার ফুড অ্যান্ড বেভারেজ লিমিটেড।
এই প্ল্যাটফর্ম থেকে উঠে এসে অনেক প্রতিযোগীই এর আগে নিজেদের ক্যারিয়ার গড়েছেন ফুড ইন্ডাস্ট্রিতে। এবারের আসরও নতুন সম্ভাবনার দরজা খুলে দিয়েছে দেশের অসংখ্য প্রতিভাবান রন্ধনশিল্পীর সামনে।
সেতু ইসরাত, উদ্যোক্তা বার্তা