বাংলাদেশের জন্য গৌরবজনক এক অর্জন এনে দিয়েছেন তরুণ উদ্যোক্তা মোঃ রাশেদুল ইসলাম। সম্প্রতি নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুতে আয়োজিত “Asian Business Iconic Award – 2025” অনুষ্ঠানে তাঁকে এশিয়ার অন্যতম আইকনিক উদ্যোক্তা হিসেবে সম্মাননা প্রদান করা হয়।
এই সম্মাননা প্রদান করে আন্তর্জাতিক ব্যবসায়িক সংগঠন Asian Business Partnership Association, যেখানে অংশগ্রহণ করে এশিয়ার আটটি দেশের বিশিষ্ট তরুণ উদ্যোক্তারা। বাংলাদেশ থেকে মনোনয়ন প্রক্রিয়া পরিচালনা করে প্রথমা বাংলাদেশ।
২৭ জুন ২০২৫ তারিখে আয়োজিত পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে নেপালের বন ও পরিবেশমন্ত্রী মোঃ রাশেদুল ইসলামের হাতে সম্মাননাটি তুলে দেন। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন চারজন সাবেক মন্ত্রী, আন্তর্জাতিক ব্যবসায়িক প্রতিনিধি এবং উদ্যোক্তা নেতৃবৃন্দ।
২০১৭ সালে মাত্র সাড়ে চার হাজার টাকা পুঁজি নিয়ে ব্যবসায়িক যাত্রা শুরু করেন মোঃ রাশেদুল ইসলাম। প্রতিষ্ঠা করেন আইডিয়াল কর্পোরেশন—যা বর্তমানে বাংলাদেশের অন্যতম সম্ভাবনাময় প্রতিষ্ঠানগুলোর একটি। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে প্রতিষ্ঠানটির বার্ষিক টার্নওভার ৪.৫ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। কম সময়ের মধ্যেই প্রতিষ্ঠানটি ব্যবসায়িক বিচক্ষণতা, সৃজনশীলতা ও সৎ নেতৃত্বের মাধ্যমে নজর কাড়ে।
বর্তমানে আইডিয়াল কর্পোরেশন চারটি মূল খাতে ব্যবসা পরিচালনা করছে_ইম্পোর্ট, ই-কমার্স, ফার্নিচার, ইলেকট্রনিকস। এই প্রতিষ্ঠান ইতোমধ্যে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সম্প্রসারণ কার্যক্রম শুরু করেছে। অ্যাওয়ার্ড গ্রহণের সময় নেপালের পরিবেশমন্ত্রীর সঙ্গে রাশেদুল ইসলামের ব্যবসায়িক আলোচনা হয়, যেখানে নেপালে ব্যবসা সম্প্রসারণের সম্ভাবনা উঠে আসে। এ বিষয়ে মোঃ রাশেদুল ইসলাম বলেন— “আমার এই অর্জন শুধুমাত্র ব্যক্তিগত নয়, এটি বাংলাদেশের তরুণ উদ্যোক্তাদের সম্মান। ইনশাআল্লাহ, আমরা খুব শিগগিরই নেপালে ব্যবসা শুরু করবো।”
রাশেদুল ইসলাম আরোও জানান, তিনি এবং তাঁর প্রতিষ্ঠান বর্তমানে আন্তর্জাতিক ব্যবসায়িক সম্পর্ক গড়ে তোলার লক্ষ্যে কাজ করছেন। তাঁর মতে, “বিশেষ করে এশিয়ার ছোট ও উন্নয়নশীল দেশের মধ্যে সহজ, ভারসাম্যপূর্ণ ও লাভজনক পণ্য সরবরাহ ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলার মাধ্যমে অর্থনৈতিক সাম্য প্রতিষ্ঠা সম্ভব।”
রাশেদুল ইসলামের এই আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি শুধুমাত্র একটি ব্যক্তিগত অর্জন নয়—এটি বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মের উদ্যোক্তাদের জন্য এক অনুপ্রেরণার গল্প। সীমিত পুঁজি, আত্মবিশ্বাস, কঠোর পরিশ্রম ও দূরদর্শী নেতৃত্বের মাধ্যমে কীভাবে একজন উদ্যোক্তা বিশ্বমঞ্চে স্থান করে নিতে পারেন, তা তিনি নিজে প্রমাণ করেছেন।
বাংলাদেশের অর্থনীতিকে বৈশ্বিক পরিসরে তুলে ধরতে এমন উদ্যোক্তাদের অবদান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ভবিষ্যতে এই ধরনের সাফল্য আমাদের দেশকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে—এমনটাই প্রত্যাশা।