তাঁত পণ্যের ব্যবহার, প্রচার, প্রসার, বাজারজাতকরণ, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, প্রস্তুতকারক, ডিজাইনার, ক্রেতাদের মধ্যে মেলবন্ধন স্থাপন ও ঐতিহ্যবাহী তাঁত পণ্য বিলুপ্তি রোধে আয়োজিত চারদিনের ‘হেরিটেজ হ্যান্ডলুম ফেস্টিভ্যাল-২০১৯’ শেষ হয়েছে।
এস এম ই ফাউন্ডেশন এবং অ্যাসোসিয়েশন অব ফ্যাশন ডিজাইনার্স অব বাংলাদেশ (এফডিবি) -এর যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত ফেস্টিভ্যালের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিল্পমন্ত্রী নুরুল
মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিলেবে উপস্থিত ছিলেন শিল্প সচিব মো. আবদুল হালিম,
সংস্কৃতি বিষয়ক সচিব ড. মো. আবু হেনা মোস্তফা কামাল। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন এস এম ই ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাে. সফিকুল ইসলাম।
এ সময় ফেস্টিভ্যালের নানা দিক হলে ধরেন এএফডিবির সভাপতি মানতাশা আহমেদ। সেই সাথে মেলায় অংশ্রহকারীদের মধ্যে সনদপত্র বিতরণ করা হয়।
দ্বিতীয়বারের মত আয়ােজিত ফেস্টিভ্যালের এবারের স্লোগান- ‘‘দেশী ভালোবাসি’’। মেলায় প্রায় ৪৫টি স্টলে ক্রেতা-দর্শনার্থীদের জন্য ছিল নকশিকাঁথা, বেনারসি শাড়ি, টাঙ্গাইল শাড়ি, জামদানি শাড়ি, মনিপুরী কাপড়, রাঙ্গামাটির চাকমাসহ অন্যান্যদের কাপড়, পাট ও বাঁশ-বেত পণ্য, শতরঞ্জিসহ ঐতিহ্যবাহী ১৫ ধরণের তাঁত ও কারুপণ্য।
এছাড়া বুনন প্রক্রিয়া প্রদর্শনীর পাশাপাশি ফেস্টিভ্যালে প্রতিদিন লোকজ শিল্পীদের সঙ্গীত পরিবেশনা, ফ্যাশন শাে, সেমিনার, ক্রেতা-বিক্রেতা ম্যাচমেকিং ইভেক্টের আয়ােজন ছিল। ২৩ অক্টোবর থেকে প্রতিদিন সকাল দশটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত ফেস্টিভ্যাল প্রাঙ্গন কোন প্রবেশ ফি ছাড়া দর্শনার্থীদের খোলা ছিল। তবে ২৪ অক্টোবর বৃহস্পতিবার সকাল দশটা থেকে দুপুর দুটা পর্যন্ত ফেস্টিভ্যাল প্রাঙ্গন শুধু বাংলাদেশের বিদেশী মিশনের কূটনীতিক ও বিদেশী অতিথিদের জন্য নির্ধারিত রাখা হয়। ওই সময়ের নাম দেয়া হয় ‘ফ্রেডস অব বাংলাদেশ ডে’। দ্বিতীয় দিনের বিশেষ এই আয়ােজনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীয় আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা প্রফেসর ড. গওহর রিজভী।
গত বুধবার ফেস্টিভালের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার।
খুরশিদা পারভিন সুমি