Homeউদ্যোক্তা মেলাশুক্রবার থেকে শুরু হচ্ছে টেস্ট অব বাংলাদেশ ফুড ফেস্টিভ্যাল সিজন ২

শুক্রবার থেকে শুরু হচ্ছে টেস্ট অব বাংলাদেশ ফুড ফেস্টিভ্যাল সিজন ২

বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের যৌথ উদ্যোগে গতবারের মতো এবারও অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে টেস্ট অব বাংলাদেশ ফুড ফেস্টিভ্যাল। চার দিনব্যাপী এই আয়োজনে থাকবে বিভিন্ন অঞ্চলের বাহারী ঐতিহ্যবাহী খাবার।

আগামীকাল শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) থেকে রাজধানীর বনানীর মোস্তফা কামাল আতাতুর্ক পার্কে শুরু হবে এ আয়োজন।

বৃহস্পতিবার সকালে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের সিইও আবু তাহের মুহাম্মদ জাবের।

এ সময় তিনি জানান, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ. এফ. হাসান আরিফ ‘টেস্ট অব বাংলাদেশ’ এর উদ্বোধন করবেন। এবারের আয়োজনে অঞ্চলভিত্তিক ৬২টি স্টল বাহারি ও ঐতিহ্যবাহী খাবার নিয়ে টেস্ট অব বাংলাদেশে অংশগ্রহণ করছে।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে আবু তাহের মুহাম্মদ জাবের বলেন, এবারের আয়োজনে ঢাকার বিউটি লাচ্ছি; লালবাগের কাচ্চি বিরিয়ানী; ফাইজানে মদিনার বিখ্যাত বোবার বিরিয়ানী; বাকরখানী; বিসমিল্লার কাবাব; কুমিল্লার রসমালাই, খুলনার চুইঝাল, শেরপুরের ছানার পায়েশ ও তুলশীমালার চাল; বিখ্যাত রাজা-চা; ছোটন মামার ফায়ার পান; হাসের মাংস, ছিটারুটি; যশোরের জামতলার সাদেক গোল্লা; বগুড়ার দই, ক্ষীরসা; কক্সবাজারের সি-ফুড; পার্বত্য চট্টগ্রামের বেম্বো চিকেন; চট্টগ্রামের মেজবান; বরিশালের রসচুসি, দুধচিতই, পাটিসাপটা, পোয়াপিঠা, বেনিপিঠা, জামাইপিঠা, তালেরপিঠা, বউসুন্দরী, লবঙ্গ লতিকা, হৃদয়হরণ, ইলিশপিঠা, ভাপাপুলি; মোরগ পোলাও, তেহারী ও বোরহানী; ফুচকা ও হালিম; ভাবের পুডিং, নাটোরের কাচাগোল্লা ও সন্দেশ; মৌলভীবাজারের মনিপুরি হাইনা চা ও খাবার; রাজশাহীর কালাইরুটি, হাসের মাংসের স্বাদ নেওয়া যাবে।

এছাড়াও হাল আমলের পাচ তারকা মানের হোটেল যেমন ইন্টারকন্টিনেন্টাল ঢাকা, প্যানপ্যাসিফিক সোনারগাঁও, শেরাটন ঢাকা তাদের বাংলাদেশি কুজিনকে ভিন্ন আঙ্গিকে উপস্থাপন করবে। এছাড়াও বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন এবং এসএমই উদ্যোক্তাগণ তাদের বাহারি খাবার নিয়ে অংশগ্রহণ করবে। তরুন প্রজন্মের খাবার নিয়ে এখানে থাকবে Gen Z Hangout কর্ণার।

এছাড়াও ঐতিহ্যবাহী ও বাহারি খাবারের আয়োজনের সঙ্গে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করা হবে। চার দিনব্যাপী আয়োজনে বাংলাদেশের অঞ্চলভিত্তিক ঐতিহ্যবাহী সাংস্কৃতিক পরিবেশনা যেমন রাজশাহীর ঐতিহ্যবাহী গম্ভীরা, কুদ্দুস বয়াতির গান, পুথি পাঠ, ভিত্তিক খাবার নিয়ে বিতর্ক, বাউল সংগীত, কাওয়ালি, পুতুল নাচ, পাহাড়ি নৃত্য, জেলে, সাপুড়ে, মাঝিসহ বিভিন্ন পেশাজীবীদের যৌথ নৃত্য পরিবেশনা, ব্যান্ড সংগীত, র্যাফেল ড্র, লাইভ কুকিং কম্পিটিশন ইত্যাদি। এছাড়াও অঞ্চলভিত্তিক ঐতিহ্যবাহী জিআই পণ্যের কর্ণার, বাদ্যযন্ত্র কর্ণার, বিদেশি অতিথিদের অংশগ্রহণের বাংলাদেশি খাবার নিয়ে মজার অভিজ্ঞতা।

তিনি আরও বলেন, ফুড ফেস্টিভ্যাল বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের একটি অনন্য উদ্যোগ। যেখানে বাংলাদেশের অঞ্চলভিত্তিক ঐতিহ্যবাহী ও বাহারি স্বাদের খাবার একটি প্লাটফর্মে নিয়ে আসা হয়। বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড ২০২৩ সালে প্রথমবারের মতো ঢাকার প্রাণকেন্দ্র বনানীতে এটি আয়োজন করে যেখানে ৪৪টি প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করে। টেস্ট অব বাংলাদেশের প্রথম আয়োজন রাজধানী ঢাকার খাবারপ্রেমী দর্শনার্থীদের মধ্যে এক ভিন্ন মাত্রা যোগ করে এর খাদ্য বৈচিত্রতা, ঐতিহ্যবাহী খাবারের পসরা এবং বাহারি স্বাদের জন্য। বাংলাদেশের অঞ্চলভিত্তিক ঐতিহ্যবাহী খাবারের টেকসই রূপদান, বাংলাদেশি খাবার বিষয়ে সচেতনতা, গ্যাস্টোনমি ট্যুরিজমের প্রসার এবং অঞ্চলভিত্তিক বৈচিত্রময় খাবার দেশি-বিদেশি দর্শনার্থীদের নিকট তুলে ধরতে এ প্রোগ্রামটি আয়োজন করা হবে। প্রথমবারের সফলতার পথ ধরে টেস্ট অব বাংলাদেশের সিজন ২ আগামী ১৩-১৬ ডিসেম্বর ঢাকার বনানীর মোস্তফা কামাল আতাতুর্ক পার্কে অনুষ্ঠিত হবে। এবারের আয়োজনে অঞ্চলভিত্তিক ৬২টি স্টল বাহারি ও ঐতিহ্যবাহী খাবার নিয়ে টেস্ট অব বাংলাদেশে অংশগ্রহণ করছে।

তিনি জানান, বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের টেস্ট অফ বাংলাদেশ ফুড ফেস্টিভ্যাল আয়োজনে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন, ওয়াশা, ডেসকো, ফায়ার সার্ভিস, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ গুলশান জোন, ট্যুরিস্ট পুলিশ, এসএমই ফাউন্ডেশন, বাংলাদশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ, ঢাকা বনানী সোসাইটি সহযোগিতা প্রদান করছে। এছাড়াও অনুষ্ঠান পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন সহযোগী হিসাবে স্পেলাবাউন্ড কমিনিউকেশন লিমিটেড, আইস্ক্রীম পার্টনার পোলার আইসক্রীম, করপোরেট পার্টনার রানার অটোমোবাইল ও আর আর ক্যাবল, ইভি পার্টনার বিওয়াইডি, হসপিটালিটি পার্টনার প্যান পাসিফিক সোনারগাঁও এবং ইন্টারকন্টিনেন্টাল ঢাকা, কালচারাল পার্টনার কালচারাল ক্লাসিকিস্ট ভূমিকা রাখছে।

বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী খাবার ও সংস্কৃতির অসামান্য মেলবন্ধন এই টেস্ট অফ বাংলাদেশ। এ আয়োজনকে বাংলাদেশিদের দীর্ঘদিনের লালিত খাবার ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে সংরক্ষণের অন্যতম প্লাটফর্ম হিসাবে প্রস্তুত করা হয়েছে যা টেকসই সংস্কৃতি গঠনে ভূমিকা রাখবে। টেস্ট অব বাংলাদেশের অন্যতম উদ্দেশ্য তরুণ প্রজন্মের সঙ্গে ঐতিহ্যবাহী দেশীয় খাবার ও সংস্কৃতির পরিচয় করা। এর মাধ্যমে আমাদের শিশু ও বাংলাদেশে যে কত ধরণের খাবার হতে পারে তা দেখে অভিভূত হবে। আমাদের ঐতিহ্যবাহী ও বাহারি বিশ্বব্যাপী ব্র্যান্ডিং করার সুযোগ তৈরি হবে।

আবু তাহের মুহাম্মদ জাবের বলেন, ২০২৩ সালে টেস্ট অফ বাংলাদেশ প্রথম আয়োজন করি। সেই আয়োজনে আমাদের মিডিয়ার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। সেবার প্রচুর দর্শক সেখানে আসে এবং জনপ্রিয়তা পায়। আমরা মনে করি এবারের আয়োজন গতবারের আয়োজন থেকে সমৃদ্ধ হবে। আমরা আশা করি এবারও মিডিয়ার মাধ্যমে এর ব্যাপক প্রচার হবে এবং জন নন্দিত হবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -

Most Popular

Recent Comments