শীতুল ভূইয়া কুষ্টিয়ায় কলেজে পড়াকালীন সময়ে নিজেকে সাবলম্বী করতে চাইলেন। তখন ২০১৬ সাল, তিনি ফেসবুকে একটি পেজ খুলে গহনা বানানোর কাজ শুরু করলেন মাত্র ৪৭০ টাকা পুঁজি নিয়ে।যেহেতু পুঁজি কম এবং গহনা বানানোতেও খরচ কম তাই হ্যান্ডমেইড গহনা দিয়েই শুরু করলেন।
অনলাইন বিজনেস সম্পর্কে খুব একটা জানতেন না উদ্যোক্তা। তারপরও হাল ছাড়েন নি। পেজ থেকে বুস্ট করে পান নয়টি অর্ডার। তখন স্বপ্নটা অন্যদিকে মোড় নেয়। গহনার পাশাপাশি অন্য প্রোডাক্টও যোগ করেন তিনি।
কুষ্টিয়া থেকে ঢাকায় এসে শীতুল ভর্তি হন ঢাকার ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল বিশ্ববিদ্যালয়ে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে। সফটওয়্যারে পড়লেও বিজনেস নিয়ে ছিল ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা। ঢাকায় আসার পর ব্যবসায় যোগ, হয়েছে শাড়ী, থ্রি -পিস, কুর্তি,পাঞ্জাবী, হ্যান্ডমেইড গহনা, পাটের ব্যাগ, টিপ সহ বেশ কিছু প্রোডাক্ট।
এছাড়াও শীতুল ঢাকায় আসার পর আরো তিন বন্ধু মীম, অঞ্চিত, ধ্রুবকে পেয়েছে পার্টনার হিসেবে। চারজন বন্ধু মিলে স্বপ্ন দেখছেন একদিন অনেক বড় যায়গায় যাবেন নিজেদের একটা নিজস্ব পরিচয় হবে।
ব্যবসার নাম ‘স্টাইল অন বাজেট’ কেন জানতে চাইলে শীতুল উদ্যোক্তা বার্তাকে বলেন ‘আমরা ভাবি যে ট্রেন্ডি বা ফ্যাশনেবল কিছু হয়ত অনেক দামি। কিন্তু অল্প বাজেটেও যুগের সাথে তাল মিলিয়ে স্টাইল করা যায়। শিক্ষার্থীরা যাতে করে একটা বাজেট ফ্রি শপিং করতে পারবে, দাম কম, জিনিস ভালো আবার আধুনিক ও তাই স্টাইল অন বাজেট।’তবে সবকিছুর মধ্যে শাড়ীটাকেই প্রাধান্য দিচ্ছেন শীতুল ভূইয়া। একেক উৎসবের সাথে তাল মিলিয়ে বিভিন্ন প্যাকেজে পণ্য বিক্রয় করেন, যেমন মা দিবসে মায়েদের জন্য মা,প্যাকেজ এবং ডিসকাউন্ট থাকে। উৎসব অনুযায়ী পণ্যের নাম ও দেন ভিন্ন ভিন্ন।
পুঁজি কম যার কারণে গুছিয়ে উঠতে একটু সময় লাগছে বলে জানান এই উদ্যোক্তা।পরিবার থেকে সাপোর্ট পেয়েছেন, সব সময় সঙ্গে আছে মায়ের উৎসাহ,পেয়েছেন বন্ধু বান্ধবীর দেওয়া অনুপ্রেরণা। এসব কিছু নিয়ে এগিয়ে যেতে চান বহুদূর।
ভবিষ্যৎ ইচ্ছার কথা জানতে চাইলে তিনি বলেন, কুষ্টিয়ায় নিজের জেলায় শো-রুম দেওয়ার ইচ্ছা আছে।
এক প্রশ্নের জবাবে শীতুল বলেন, লাভের চেয়ে আমি কাস্টমারকে বেশি মূল্যায়ন করি। আমি যেহেতু ভার্সিটিতে পড়ি তাই আমি ১০টাকার টিপ থেকে শুরু করে ১০০০ টাকার শাড়ি পর্যন্ত রেখেছি। কিছু কিছু পণ্যের দাম একটু বেশি থাকে মাঝে মাঝে। তবে চাই সাধ্যের মধ্যে সবাই যেন ভালো জিনিসটা কিনে।
খাদিজা ইসলাম স্বপ্না