শতবর্ষী বনসাইয়ে মুগ্ধ দর্শনার্থীরা

0

ছোট্ট মাটির পাত্রে পূর্ণ গাছের আদলে বট, ল্যান্ডস্কেপ, রাইটিয়া, রুটওভার রক, ক্যালিআন্ড্রা, প্রেমনা, কামিনী, ফাইকাস, জেড এমন যে গাছগুলো সহজে বেঁচে থাকতে পারে তাদের ছোট আকারে সুন্দর করে বাঁচিয়ে রেখে যে শিল্প গড়ে উঠেছে তার নাম বনসাই।

দ্রুত নগরায়নের এই সময়ে গাছের সৌন্দর্য আর অক্সিজেনের ঘাটতি মেটাতে আর বহু প্রাচীন এই শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতে বাড়িতে বাড়িতে বনসাইয়ের চর্চা করা জরুরি বলে মনে করেন বনসাই বোদ্ধারা। তারা বলেন, বনসাই প্রকৃতির অংশ দিয়ে তৈরি অপরূপ সৌন্দর্য হতে পারে শৌখিন শোপিস।

বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ধানমন্ডির ডাব্লিউ.ভি.এ. মিলনায়তনে চারদিনব্যাপী ২৩তম বার্ষিক বনসাই প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণকারী বনসাইপ্রেমীরা বনসাইয়ের নানা দিক তুলে ধরেন।

প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে বাংলাদেশ বনসাই সোসাইটি। এবারের প্রদর্শনীর মূল লক্ষ্য সজীব-সতেজ বনসাই শহরের মানুষের কাছে তুলে ধরা।

বনসাই প্রদর্শনীতে এসে বাংলাদেশে জাপানী রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি বলেন, ‘বনসাই সংস্কৃতি অনেক শিল্পীর অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে উঠেছে। বনসাইয়ের মতো প্রাচীন শিল্প বাংলাদেশে জনপ্রিয়তা পাচ্ছে দেখে আমি আনন্দিত।’

বাংলাদেশ বনসাই সোসাইটির সভাপতি নাজমা শফিক বলেন, ‘আমাদের দেশে শিল্পকে খুব একটা গুরুত্ব দেওয়া হয় না। বনসাই শিল্পীরা নিজেদের ভালোবাসা থেকে সময়, পরিশ্রম আর নিষ্ঠা দিয়ে বনসাই করে চলেছেন। প্রাচীন এই শিল্পকে ধরে রেখেছেন। আমরা এই শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য প্রতিবছর বনসাই প্রদর্শনীর আয়োজন করে থাকি৷’

উল্লেখ্য, ১৯৯৯ সালে ১০/১২ জন বৃক্ষপ্রেমীকে নিয়ে বাংলাদেশ বনসাই সোসাইটি প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতি বছর বনসাই বিষয়ে প্রশিক্ষণ এবং প্রদর্শনীর আয়োজন করে এই সংগঠন।

আয়োজকরা জানান, প্রদর্শনীতে দেশীয় বৈচিঁ, ঘূর্ণি, তমাল, শ্যাওড়া, তুঁত, নিশিন্দা গাছের পাশাপাশি অতিপরিচিত তেঁতুল, বট, পাকুর, হিজল, কামিনীসহ প্রায় ৭০০ বনসাই স্হান পেয়েছে। ৭০ জন বনসাই শিল্পীর শিল্পকর্ম প্রদর্শনীতে স্হান পেয়েছে। প্রদর্শনী চলবে ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত সকলের জন্য প্রদর্শনী খোলা থাকবে।

সেতু ইসরাত,
উদ্যোক্তা বার্তা

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here