‘ভোগ বিজনেস ১০০ ইনোভেটর’ তালিকায় ২ বাংলাদেশি

0

‘ভোগ বিজনেস ১০০ ইনোভেটর ২০২৩’ তালিকায় স্থান পেয়েছেন দুই বাংলাদেশি। এর মধ্যে বাংলাদেশ অ্যাপারেল এক্সচেঞ্জের প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও মোস্তাফিজ উদ্দিন সম্মানজনক ‘সাসটেইনেবিলিটি থট লিডার’ হিসেবে এই তালিকায় রয়েছেন। এ ছাড়া তালিকায় জায়গা করে নিয়েছেন সাবেক সাংবাদিক এবং নারী স্বাস্থ্য বিষয়ক অ্যাডভোকেট তাওহিদা শিরোপা।

সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) এ তালিকা প্রকাশ করেছে ভোগ ম্যাগাজিন। তাওহিদা শিরোপা বাংলাদেশি স্টার্টআপ ‘মনের বন্ধু’র প্রতিষ্ঠাতা। এ প্রতিষ্ঠানটি গার্মেন্টস কারখানার শ্রমিক, মহিলা এবং যুবকদের কাউন্সেলিং, ওয়ার্কশপসহ কম খরচে সহজলভ্য মানসিক স্বাস্থ্য এবং সুস্থতা পরিষেবা দিয়ে থাকে।

যেসব নেতা, প্রতিষ্ঠাতা এবং কর্মী ফ্যাশন শিল্পকে আরও টেকসই ও সুন্দর করার জন্য অসামান্য অবদান রেখেছেন এমন সব ব্যক্তিকে নিয়ে এবার প্রকাশিত হয়েছে বার্ষিক ভোগ বিজনেস ১০০ ইনোভেটর ২০২৩ তালিকা।

ভোগ সাময়িকীর পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে প্রকাশিত সংস্করণগুলোর সম্পাদকেরা মিলে প্রতিবছর পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে কাজ করা উদ্ভাবনী উদ্যোক্তাদের মধ্য থেকে এই শীর্ষ ১০০ তালিকা করে থাকেন। ভোগের ব্যবসা-বাণিজ্য বিভাগের সম্পাদকীয় কর্মীরা প্রাথমিক বাছাই করে থাকেন। এ বছর ভোগ বিজনেস ১০০ ইনোভেটরদের ৫টি বিভাগে ভাগ করা হয়েছে। সেগুলো হচ্ছে—টেক অ্যান্ড ওয়েব ৩ ইনোভেটরস, সাসটেইনেবিলিটি থট লিডারস, নেক্সট–জেনার এন্টারপ্রেনার্স অ্যান্ড অ্যাজিটেটরস, বিউটি ডিসরাপ্টারস এবং চ্যাম্পিয়নস অব চেঞ্জ।

মানসিক স্বাস্থ্য সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান মনের বন্ধুর প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) তৌহিদা শিরোপা এবং বাংলাদেশ অ্যাপারেল এক্সচেঞ্জের প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও মুস্তাফিজ উদ্দিন—দুজনই সাসটেইনেবিলিটি থট লিডারস শ্রেণিতে ১০০ উদ্ভাবকের তালিকায় স্থান পেয়েছেন।

তৌহিদা শিরোপার কাজ সম্পর্কে ভোগের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তাঁর প্রতিষ্ঠিত মনের বন্ধু তৈরি পোশাক কারখানার শ্রমিকদের স্বল্প খরচের মানসিক স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে থাকে। পাশাপাশি নারী ও বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মের জন্যও মানসিক স্বাস্থ্যসেবা দেয় মনের বন্ধু। এই সেবা দেওয়া হয় কাউন্সেলিং, কর্মশালার মাধ্যমে। ভোগের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, মনের বন্ধু যে মানসিক স্বাস্থ্যসেবা ও ভালো থাকার উপায় বলে দেয়, তার খরচ প্রতিবার মাত্র দশমিক ২৭ থেকে ৯৪ সেন্ট, অর্থাৎ এক ডলারের কম খরচে মনের বন্ধু এই সেবা দিয়ে থাকে।

মুস্তাফিজ উদ্দিন রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাকশিল্পে টেকসই ফ্যাশন নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে কার্যকর ভূমিকা রেখে যাচ্ছে। ভোগ বিজনেসের প্রতিবেদনে তাঁর সম্পর্কে লেখা হয়েছে, করোনা মহামারির সময় যখন সরবরাহকারীদের একের পর এক অর্ডার বাতিল হচ্ছিল, তখন তাঁদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন মুস্তাফিজ উদ্দিন। তিনি সরবরাহকারীদের জানিয়েছিলেন, কী ঘটছে আর কী হতে পারে। এ রকম প্রথম নয়, মুস্তাফিজ দীর্ঘদিন ধরে সংবাদমাধ্যমে মতামত, নিবন্ধ লিখে যাচ্ছেন, তৈরি পোশাকশিল্পের পক্ষে সচেতনতা গড়ে তোলার কাজটি করে যাচ্ছেন।

বাংলাদেশের পোশাকশিল্পকে আন্তর্জাতিকতায় তুলে ধরতে মুস্তাফিজের অবদান অনেকটাই। তিনি বাংলাদেশ ডেনিম এক্সপোর আয়োজক। সাসটেইনেবল অ্যাপারেল ফোরাম নামে টেকসই ফ্যাশন নিয়ে একটি আয়োজন করেন। চলতি বছর শুরু করেছেন বেস্ট অব বাংলাদেশ প্রদর্শনী। গত সপ্তাহেই আমস্টারডামে অনুষ্ঠিত হয়েছে এ আয়োজন। এতে বাংলাদেশি তৈরি পোশাক কোম্পানিগুলো ইউরোপের বাজারে নিজেদের ফ্যাশন পণ্য তুলে ধরতে পেরেছেন।

তরুণ উদ্যোক্তা মুস্তাফিজ উদ্দিন ড্রেপারস সাসটেইনেবল ফ্যাশন পুরস্কার পেয়েছেন ২০২১ সালে। এ ছাড়া তিনি পেয়েছেন ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের পুরস্কার।

ডেস্ক রিপোর্ট,
উদ্যোক্তা বার্তা

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here