একজন মায়ের আবেগঘন ফেসবুক পোস্ট নাড়িয়ে দিয়েছে হাজার হাজার মানুষের হৃদয়। Jacyntha Florentius (জাসিনথা ফ্লোরেনশিয়া) নামের লন্ডনে কর্মরত এক স্টাফ রেজিস্টার্ড নার্স সম্প্রতি নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে এয়ারএশিয়ার একটি ফ্লাইটে ঘটে যাওয়া এক মানবিক অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন।
জাসিনথা ৪ জুলাই ২০২৬ তারিখে গুয়াংজৌ থেকে কুয়ালালামপুরগামী ফ্লাইট AK 115-এ তাঁর এক বছর সাত মাস বয়সী মেয়ে নাতাশা সোফিয়াকে নিয়ে যাত্রা করছিলেন। ফ্লাইট চলাকালে হঠাৎ শিশুটি অসুস্থ হয়ে পড়ে। তার ঠোঁট ও মুখ ফ্যাকাশে হয়ে যায়, নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছিল এবং সে ছিল একেবারে নিস্তেজ ও প্রতিক্রিয়াহীন।
এই সংকটময় মুহূর্তে এয়ারএশিয়ার কেবিন ক্রু এবং পাইলটের তাৎক্ষণিক ও দক্ষ ব্যবস্থাপনায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। শিশুটিকে অক্সিজেন দেওয়া হয়, ফ্লাইটে থাকা একজন চিকিৎসকের সহায়তা নেওয়া হয় এবং ফ্লাইটটি জরুরি ভিত্তিতে হো চি মিন শহরে অবতরণ করে।
নাতাশার চিকিৎসায় কোন ধরনের বিলম্ব হয়নি। বিমানে মেডিকেল টিম অপেক্ষা করছিল, দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় এবং প্রয়োজনীয় সব পরীক্ষা করানো হয়। পুরো সময় পাশে ছিলেন এয়ার এশিয়ার হো চি মিন গ্রাউন্ড স্টাফ অ্যালান ভু।
এই ঘটনার বিস্তারিত তুলে ধরে জাসিনথা তার ফেসবুক পোস্টে লেখেন, কীভাবে প্রতিটি স্টাফ—পাইলট থেকে কেবিন ক্রু এবং গ্রাউন্ড টিম—একজন মায়ের কাছে ফেরেশতার মতো হয়ে উঠেছিল।
এই পোস্টটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।
৪১,০০০+ শেয়ার
২,২১,০০০+ রিঅ্যাকশন
১,৭০০+ মন্তব্য, যেখানে সবাই এয়ারএশিয়ার প্রশংসায় ভাসাচ্ছেন।
অনেকেই লিখেছেন,
“এই পোস্টটা পড়ে চোখে পানি এসে গেছে।”
“এয়ারএশিয়া সত্যিই প্রমাণ করলো, তারা শুধু একটি এয়ারলাইন নয়—তারা একটি পরিবার।”
“মানবতার এমন উদাহরণ খুব বেশি দেখা যায় না।”
বর্তমানে পোস্টটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে ছড়িয়ে পড়ছে বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে। এয়ারএশিয়ার প্রতি এমন হৃদয় ছোঁয়া কৃতজ্ঞতা ও ভালোবাসা প্রকাশের এই ঘটনাটি নিঃসন্দেহে তাদের প্রতি যাত্রীদের আস্থার প্রতীক হয়ে উঠেছে।
এই ঘটনা আবারও প্রমাণ করলো—একটু সহানুভূতি, দ্রুত সিদ্ধান্ত আর মানবিক আচরণ যেকোনো সংকটকে জয় করতে পারে।