“রিটায়ার্ড বলে কোন শব্দ নেই। পুরো শব্দটাকে রিটায়ারমেন্টে পাঠিয়ে দিলে ভালো হয়। একজন মানুষ কখনো রিটায়ার করতে পারে না। সে মৃত্যু পর্যন্ত সচল, সজাগ, কর্মঠ। তার আগে সে থামে না। এই শব্দটাকে ডিকশনারি থেকে বের করে দিতে হবে।“
বুধবার (১ জানুয়ারি) পূর্বাচলের বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে (বিসিএফসি) ২৯তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
সামাজিক ব্যবসা তত্ত্বের জনক নোবেল বিজয়ী প্রথম বাংলাদেশি ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, “৭০-৮০-৯০ বছর কোনো বয়সই বয়স না। যতক্ষন পর্যন্ত চিন্তা করা যায়, কাজ করা যায়, বুদ্ধি দেয়া যায়, ততক্ষণ সচল, একজন মানুষ। কাজেই তরুণরা যে যেরকম কাজ করবে, বয়স্করাও কাজ করবে। তাদের জন্য একটা আলাদা এলাকা থাকবে। ষাটোর্ধ- সত্তোরোর্ধ কি কি কাজ করছে, কি কি জিনিস তৈরি করছে তা থাকবে।
উপজেলায় উপজেলায় প্রতিযোগিতা হবে, তাদের চিহ্নিত করা হবে, তালিকা হবে, তাদের জীবনী ছাপা হবে। তারা কি করছে- তাদের দেখতে আসবে সবাই। দলে দলে আসবে। সারা দেশজুড়ে আসবে। বিদেশ থেকে আসবে।
বুদ্ধির জন্য বয়সের দরকার নেই। ভবিষ্যতের মেলা সারা দেশ জুড়ে হবে। এটাই হবে চূড়ান্ত মেলা। বুঝতে আসবে ,শিখতে আসবে, বিনিয়োগ করতে আসবে। এখানে যারা দেখতে আসবে তাদের অর্ধেকাংশ হলো যারা বিনিয়োগ করতে চায়, সঙ্গী খুঁজতে চায়, কোন ব্যবসাটা সে ধরবে। কোন ব্যবসাটা নিয়ে সে এগিয়ে যাবে।
বুদ্ধিটা বিরাট সম্পদ। টাকার চাইতে অনেক বড়। টাকা বুদ্ধির পিছে পিছে দৌড়াবে। টাকা নেই তো বিষয় না। বুদ্ধি থাকলেই টাকা আসবে।
আমাদের তরুণ-তরুণী, বয়স্ক-বয়স্কা যত আছে,সবাই সবার সতস্ফূর্ত উদ্যোক্তা হবার শক্তিকে এই মেলার মাধ্যমে এগিয়ে নেবে। সেগুলো পরবর্তীতে স্কুলে কলেজে পাঠ্য হবে। তাহলেই এই মেলা সবার জীবনে একটা বড় প্রভাব রেখে যাবে।’