মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে রাজশাহী বিভাগের শ্রেষ্ঠ পাঁচজন অদম্য নারীকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার রাজশাহী জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে অদম্য নারী পুরস্কার-২০২৪ কার্যক্রমের আওতায় এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
তৃণমূল পর্যায়ের সংগ্রামী নারীদের আত্মশক্তিতে উজ্জীবিত ও অনুপ্রাণিত করার লক্ষ্যে রাজশাহী বিভাগের আটটি জেলা থেকে নির্বাচিত ৩৯ জন নারীর মধ্য থেকে পাঁচটি বিভাগে (ক্যাটাগরি) পাঁচ নারীকে এ সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
এ বছর অর্থনৈতিকভাবে সাফল্য অর্জনকারী নারী ক্যাটাগরিতে নওগাঁর সাপাহারের সেফালী খাতুন, শিক্ষা ও চাকরি ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জনকারী নারী ক্যাটাগরিতে সিরাজগঞ্জের চৌহালীর আয়শা সিদ্দিকা, সফল জননী নারী ক্যাটাগরিতে সিরাজগঞ্জের কামারখন্দে লাইলী বেগমকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে।
এছাড় নির্যাতনের বিভীষিকা মুছে ফেলে নতুন উদ্যমে জীবন শুরু করেছেন যে নারী ক্যাটাগরিতে নওগাঁ সদরের শাবানা বানু এবং সমাজ উন্নয়নে অসামান্য অবদান রেখেছেন যে নারী ক্যাটাগরিতে রাজশাহীর পবা উপজেলার বিলকিস বেগম শ্রেষ্ঠ অদম্য নারী নির্বাচিত হন।
বিভাগীয় কমিশনার খোন্দকার আজিম আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের শুরুতে অদম্য নারীদের ফুলের মালা ও উত্তরীয় পরিয়ে দেওয়া হয়। পরে তাদের হাতে তুলে দেওয়া হয় ক্রেস্ট ও সনদ।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কেয়া খান বলেন, “অদম্যদের কেউ দমিয়ে রাখতে পারে না। পুরস্কারে ভূষিত হন বা না হন নারীরা সবাই অদম্য।”
কেয়া খান বলেন, “আমরা সেই সমতার সমাজ প্রতিষ্ঠিত করতে চাই যেখানে নারীদের সুবিধা বঞ্চিত অবস্থান থেকে উঠে আসার গল্প শোনাতে হবে না। কোনো নারীর জীবনে নির্যাতন যেন আর না হয়। আমরা সবাই যেন সমভাবে এগিয়ে যেতে পারি। সে উদ্দেশ্যে আমরা সবাই কাজ করতে চাই।”
অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন, পুলিশের রাজশাহী রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি দ্বীন মোহাম্মদ, জেলা প্রশাসক আফিয়া আখতার, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক মনির হোসেন ও রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ মহিবুল ইসলাম।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন, রাজশাহীর অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার তরফদার মো. আক্তার জামীল, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের রাজশাহীর উপপরিচালক শবনম শিরিন।