রাজধানীর মোহাম্মদপুরে উইমেন ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ-এর আয়োজনে অনুষ্ঠিত হলো ‘হেলদি ফুড ফেস্ট সিজন-১’।
দিনব্যাপী এই আয়োজনে ৫০ জন রন্ধনশিল্পী অংশগ্রহণ করেন, যেখানে বিশেষ আকর্ষণ ছিল ‘One Dish Party’। এখানে অংশগ্রহণকারীরা সুস্বাদু ও স্বাস্থ্যসম্মত খাবার পরিবেশন করেন এবং রান্না বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে খাবারের পুষ্টিগুণ ও স্বাস্থ্যকর উপায়ে রান্নার কৌশল সম্পর্কে প্রশিক্ষণ নেন।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের (BFSA) সদস্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ সোয়েব। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ড. ফারহানা মুবিন ও বিশিষ্ট কালিনারি আর্টিস্ট দিল আফরোজ সায়দা। আয়োজনের সভাপতি ছিলেন বাংলাদেশ উইমেন ফাউন্ডেশন ও বাংলাদেশ পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতি (পুনাক)-এর সভাপতি আফরোজা হেলেন।
প্রধান অতিথি ড. মোহাম্মদ সোয়েব বলেন, “সুস্থ ও সুস্বাদু খাবার শুধু রন্ধনশিল্পের অংশ নয়, এটি মানুষের সুস্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে হলে আমাদের সঠিক উপায়ে রান্না করা এবং খাদ্যের গুণগত মান বজায় রাখার বিষয়ে সচেতন হতে হবে।”
বিশেষ অতিথি ড. ফারহানা মুবিন বলেন, “খাবারের স্বাদ বাড়ানোর পাশাপাশি কীভাবে তা স্বাস্থ্যসম্মত রাখা যায়, সে বিষয়ে জ্ঞান থাকা দরকার। এই ধরনের আয়োজন উদ্যোক্তাদের জন্য দারুণ সুযোগ তৈরি করে, যেখানে তারা নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাবার তৈরির কৌশল শিখতে পারেন।”
বিশিষ্ট কালিনারি আর্টিস্ট দিল আফরোজ সায়দা বলেন, “সুস্বাদু খাবার তৈরি করা যেমন একটি শিল্প, তেমনি স্বাস্থ্যকর খাবার তৈরি করাও একটি দক্ষতা। নতুন রন্ধন শিল্পীরা এ বিষয়ে আরও দক্ষতা অর্জন করলে তারা নিজেদের পণ্যকে ভোক্তাদের কাছে আরও আকর্ষণীয় করে তুলতে পারবেন।”
‘One Dish Party’-তে অংশ নেওয়া উদ্যোক্তারা বিভিন্ন সুস্বাদু ও স্বাস্থ্যকর খাবার পরিবেশন করেন। তাদের তৈরি খাবারের মধ্যে হাঁসের মাংস, গরুর মাংস, রুটি, মাছ ভাজি, পোলাও, খিচুড়ি, বিরিয়ানি, বিভিন্ন ধরনের পিঠা এবং শতাধিক মুখরোচক খাবারের সমাহার ছিল।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত অতিথিরা অংশগ্রহণকারীদের খাবার পরখ করেন এবং তাদের রান্নার দক্ষতার প্রশংসা করেন।
দিনব্যাপী এই আয়োজনে অংশ নিয়ে রন্ধনশিল্পীরা দারুণ উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন। তারা বলেন, “এই ধরনের আয়োজন আমাদের রান্নার মান উন্নত করতে সাহায্য করবে এবং স্বাস্থ্যকর খাবার তৈরির বিষয়ে আরও সচেতন করবে। আমরা চাই, এ ধরনের প্রশিক্ষণ আরও নিয়মিত আয়োজন করা হোক, যাতে আমরা আরও নতুন কিছু শিখতে পারি।”
এই আয়োজন শুধু খাবার প্রদর্শনী নয়, বরং স্বাস্থ্যসম্মত খাবার তৈরির সচেতনতা বৃদ্ধির একটি কার্যকর প্ল্যাটফর্ম হিসেবে ভূমিকা রাখবে বলে আয়োজকরা আশা প্রকাশ করে আয়োজকরা বলেন, “এই আয়োজন শুধু খাবার প্রদর্শনীর জন্য নয়, বরং উদ্যোক্তাদের স্বাস্থ্যসম্মত রান্নার বিষয়ে দক্ষ করে তোলার জন্যও। আমরা চাই, বাংলাদেশের রন্ধনশিল্পীরা শুধু সুস্বাদু নয়, বরং পুষ্টিকর ও স্বাস্থ্যসম্মত খাবার তৈরির ক্ষেত্রেও দক্ষ হয়ে উঠুন।”
তারা আরও বলেন”আমরা চাই, এই আয়োজনকে আরও বড় পরিসরে নিয়ে যেতে, যাতে আরও বেশি সংখ্যক উদ্যোক্তা ও রন্ধনশিল্পী এতে অংশগ্রহণ করতে পারেন। আগামীতেও আমরা এই ধরণের আয়োজন চালিয়ে যাবো।”
হাবিবুর রহমান,উদ্যোক্তা বার্তা