‘ভবিষ্যতে নিজেকে তরুণ উদ্যোক্তা হিসেবে পরিচিত করতে চাই তাই বিজনেস লিডারশীপ কার্নিভালে আসা। এখানে এসে অনেক কিছুই জানছি এবং শিখতে পারছি’- তরুণ অনেক শিক্ষার্থী এভাবেই নিজেদের ভবিষ্যতের কথা বলছিলেন।
প্রথম বিজনেস লিডারশীপ কার্নিভালে এসে তরুণ শিক্ষার্থী ছেলে মেয়েদের চোখে মুখে ছিল চতুর্থ-পঞ্চম প্রজন্মের শিল্প বিপ্লব সম্পর্কে জানার তুমুল আগ্রহ।
কার্নিভালে উপস্থিত শিক্ষার্থী ও তরুণ উদ্যোক্তারা নতুন কিছু জানা ও শেখার জন্য উদগ্রীব ছিলেন।
বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের (বিইউপি) শিক্ষার্থী নুসরাত জাহান উদ্যোক্তা বার্তাকে বলেন, এখানে এসে অনেক কিছু শিখতে পারছি, কিভাবে নিজেকে ডেভেলপমেন্ট করবো, কি ভাবে ভালো লিডার হবো কথাগুলো অনেক আমাকে মোটিভেটেড করেছে।
নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেক শিক্ষার্থী সুমনা ফেরদৌসী বলেন, ভবিষ্যতে উদ্যোক্তা হওয়ার ইচ্ছে আছে তাই এখানে এসে জানার পরিধি বাড়ানো এবং ব্যবসায় কিভাবে ভালো করব এসব বিষয়গুলো শিখতেই কার্নিভালে আসা।
শোয়েব রহমান নামের এক উদ্যোক্তা বলেন, অনুষ্ঠানটি নিঃসন্দেহে সুন্দর একটি আয়োজন। এখানে তরুণ উদ্যোক্তা যারা এসেছেন তারা আমাদের ফিউচার লিডার। তারাই দেশকে সামনে নিয়ে যাবেন।
কার্নিভালের মূল উদ্যোক্তা ও সোসাইটি ফর লিডারশিপ স্কিলস্ ডেভেলপমেন্টের (এসএলএসডি) সভাপতি অধ্যাপক মঈনুদ্দিন চৌধুরী এতে সভাপতিত্ব করেন। সোসাইটি ফর লিডারশিপ স্কিলস্ ডেভেলপম্যান্ট (এসএলএসডি) ও এন অ্যাফেয়ার্স যৌথভাবে অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ফেডারেশন অফ বাংলাদেশ হিউম্যান রিসোর্স ওরগানাইজেশন্সের (এফবিএইচআরও) সভাপতি মো. মোশারফ হোসেন। বক্তব্য রাখেন, লে. জেনারেল (অব.) মো. মঈনুল ইসলাম, গ্রুপ ক্যাপ্টেন (অব.) এম হাসিবুল হাসান, ওমেন’স এন্ট্রেপ্রেনিউরস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি নীলুফার করিম।
কার্নিভালে লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. মঈনুল ইসলাম বলেন, ‘লিডারশিপ কাউকে হাতে তুলে দিতে হয় না। এটা অর্জন করে নিতে হয়। তিনি বলেন, শিক্ষা ও মানবসম্পদ উন্নয়নের মাধ্যমে আমাদের লিডারশিপ অর্জন করতে হবে।’
সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক মঈনুদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘মানবসম্পদ উন্নয়নের কাজে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা প্রয়োজন। দেশ এখন উন্নয়নের যাত্রাপথে। এই উন্নয়নের অন্যতম অংশীদার বেসরকারি খাত। এই খাতে সরকারের আরও বেশি সহযোগিতা প্রয়োজন।’
প্রথম বিজনেস লিডার্স কার্নিভাল-২০১৯ পাঁচটি লক্ষ্যকে সামনে রেখে আয়োজন করা হচ্ছে। সেগুলো হচ্ছে- শিক্ষা বিনোদনের ও নেটওয়ার্কের মাধ্যমে ব্যবসায়িক জ্ঞান সম্প্রসারণ, ব্যবসায়ে নারী নেতৃত্ব উৎসাহিত করা, পরবর্তী প্রজন্মের ব্যবসায়িক নেতৃত্বের মাঝে সৃজশীলতা তৈরি, ব্যবসায়িক সমাজকে সঠিক ভাবে করপোরেট সোসাল রেসপন্সিবিলিটির ব্যাপারে আরও সচেতন করা এবং বাংলাদেশের ব্যবসায়িক সমাজকে ৪র্থ/৫ম শিল্প বিপ্লবকে মোকাবিলায় প্রস্তুত করা। এছাড়াও কার্নিভালে মোট ৫ টি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রায় এক হাজার ছাত্র-ছাত্রীসহ পাঁচশত পেশাজীবী, শিক্ষাবিদ, ব্যবসায়ী, শিল্পপতি, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ও গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া ১০ জনকে বিজনেস লিডার্স অ্যাওয়ার্ড এবং ১০ জনকে বিজনেস ইনোভেশন অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়।
সাদিয়া রশ্নি সূচনা/ খাদিজা ইসলাম স্বপ্না