বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে প্রথমবারের মতো একটি মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (ইকোনমিক পার্টনারশিপ এগ্রিমেন্ট বা ইপিএ) স্বাক্ষরের আলোচনা দ্রুত এগিয়ে চলেছে। এই চুক্তি সফল হলে, এটি হবে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে একটি বড় মাইলফলক।
২০২৪ সালের মে মাসে ঢাকায় প্রথম দফা আলোচনা শুরু হয়। এরপর নভেম্বর ২০২৪-এ ঢাকায় দ্বিতীয় দফা এবং ১৮-২০ ডিসেম্বর জাপানে তৃতীয় দফা আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। পরবর্তী চতুর্থ দফা আলোচনা ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে ঢাকায় এবং পঞ্চম দফা ২০২৫ সালের এপ্রিলে টোকিওতে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে মোট ২১টি অধ্যায়ের ওপর আলোচনা চলছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য: কাস্টমস প্রক্রিয়া ও বাণিজ্য সুবিধা, স্যানিটারি ও ফাইটোস্যানিটারি ব্যবস্থা, সরকারি ক্রয়, প্রতিযোগিতা নীতি, ই-কমার্স, বিনিয়োগ, মেধাস্বত্ব সংরক্ষণ সহ ব্যবসা পরিবেশের উন্নয়ন।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মোহাম্মদ রফিকুল আলম জানান, এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হলে, জাপানের বাজারে বাংলাদেশের রপ্তানি আরও বাড়বে এবং বিনিয়োগের নতুন সুযোগ তৈরি হবে।
২০২৬ সালে স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের কারণে শুল্কমুক্ত রপ্তানি সুবিধা হারানোর আশঙ্কা রয়েছে। জাপানের সঙ্গে এই মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি বাংলাদেশের পণ্য শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার বজায় রাখতে সহায়ক হবে।
চুক্তি বাস্তবায়ন হলে, এটি দেশের রপ্তানি ও বিনিয়োগ পরিবেশকে উন্নত করবে এবং জাপানের সঙ্গে কৌশলগত অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব গড়ে তুলবে।
ডেস্ক রিপোর্ট, উদ্যোক্তা বার্তা