Homeবর্ণাঢ্য র‍্যালি ও ফুল ভাসানোর মধ্য দিয়ে শুরু হলো নববর্ষ ও চৈত্রসংক্রান্তির...

বর্ণাঢ্য র‍্যালি ও ফুল ভাসানোর মধ্য দিয়ে শুরু হলো নববর্ষ ও চৈত্রসংক্রান্তির সাতরঙা উৎসব

১৮ কোটি জনসংখ্যার বাংলাদেশে প্রায় ১৭ লক্ষ আদিবাসী জনগোষ্ঠীর বসবাস। আদিবাসীদের বিভিন্ন সম্প্রদায়ের অংশগ্রহণে শুরু হয়েছে নববর্ষ ও চৈত্রসংক্রান্তির সাতরঙা উৎসব। বর্ণাঢ্য র‍্যালি ও কলাপাতায় ফুল ভাসানোর মধ্য দিয়ে শুরু হলো উৎসবের মূল আনুষ্ঠানিকতা।  

ঢাকায় ঐতিহ্যবাহী এই উৎসবের উদ্বোধন করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা।

‘বিহু, বিঝু, বিষু, বৈসু, চাংক্রান, সাংক্রান, সাংগ্রাইন, সাংগ্রাইং বাহারি ফুল আর পাতার সমাহারে বিভিন্ন নামে বিভিন্ন সম্প্রদায় একটি মিলনমেলায় পরিণত হয় এই উৎসবকে কেন্দ্র করে।

উৎসব উপলক্ষে পাহাড়ি জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানের শোভাযাত্রা বেইলি রোডের পার্বত্য চট্টগ্রাম কমপ্লেক্স হতে রমনা পার্ক লেকে গিয়ে কলাপাতায় ফুল ভাসানো ও আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে প্রতিবছরের ন্যায় এবারও রাজধানীতে বসবাসরত পাহাড়ি তরুণ-তরুণী, বৃদ্ধ, জায়া-জননীরা মিলেমিশে প্রাণের এই উৎসবে অংশ নেয়। পাহাড়ি-বাঙালিরা এবারও মেতে ওঠে। প্রত্যাশা করা হচ্ছে যে, বাংলাদেশের দিন বদলের সাক্ষী সেইসকল বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সহযোদ্ধারাও এবার মাতিয়ে তুলবে এ উৎসবকে।

নববর্ষ ও চৈত্রসংক্রান্তির সাতরঙা উৎসবে চাকমা, মারমা, ত্রিপুরাসহ বিভিন্ন সম্প্রদায়ের  তরুণ-তরুণীদের রং বে-রঙের সাজ আনন্দকে বাড়িয়ে দেয় কয়েকগুণ। বর্ষবরণ ও বর্ষবিদায় উৎসবকে পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর লোকজন ভিন্ন ভিন্ন নামে পালন করে থাকে।

সাধারণত বছরের শেষ দুইদিন এবং নতুন বছরের প্রথম দিন নববর্ষ ও চৈত্রসংক্রান্তির সাতরঙা উৎসব পালিত হয়। চৈত্র সংক্রান্তিতে পুরাতন বছরকে বিদায় ও নতুন বছরকে বরণ করতে পাহাড়ীরা প্রতিবছর এই উৎসবের আয়োজন করে থাকে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -

Most Popular

Recent Comments