শোভন কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও জীবনযাত্রার মানোন্নয়নে মাইক্রো, ক্ষুদ্র ও মাঝারি খাতকে আরো এগিয়ে নেয়ার লক্ষ্যে ২০১৭ সালে ২৭ জুনকে ‘এমএসএমই দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করে জাতিসংঘ। এ নিয়ে অষ্টমবারের মতো দিবসটি পালিত হচ্ছে।
জাতিসংঘের মতে, বিশ্বের ব্যবসার শতকরা ৯০ ভাগ, কর্মসংস্থানের ৬০-৭০ ভাগ এবং জিডিপিতে ৫০ ভাগ অবদান এমএসএমই খাতের। বিশ্বজুড়ে কর্মক্ষম দরিদ্র, নারী, যুবক ও পিছিয়েপড়া জনগোষ্ঠীর জীবনযাত্রার উন্নয়নের মেরুদণ্ড হিসেবে ভূমিকা রাখছে এমএসএমই খাত।
তবে করোনাভাইরাসের কারণে এ খাতের ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে আগের যে কোনো সময়ের চেয়ে বেশি সহায়তা প্রয়োজন। তাই এ খাতে উদ্ভাবন, সৃজনশীলতা ও শোভন কর্মসংস্থান নিশ্চিত করতে অর্থায়ন, পণ্য বাজারজাতকরণ, প্রযুক্তি সহায়তা ও ব্যবসার পরিবেশ উন্নয়ন আরও উন্নত করার সুপারিশ জাতিসংঘের।
এদিকে, দিবসটি উপলক্ষে জাতীয় পত্রিকায় ক্রোড়পত্র প্রকাশ, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় প্রচারণা এবং নানা আয়োজনের মাধ্যমে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এর সাথে যৌথ উদ্যোগে এমএসএমই দিবস পালন করছে ঐক্য ফাউন্ডেশন।
দিবসটি উপলক্ষ্যে ডিএনসিসি এবং ঐক্য ফাউন্ডেশন মাইক্রো, ক্ষুদ্র ও মাঝারি খাতের উদ্যোক্তাদের অংশগ্রহণে ২দিন ব্যাপী ওয়ার্ল্ড এমএসএমই ডে সেলিব্রেশন এন্ড ফেয়ার আয়োজন করেছে। দেশের যেকোনো প্রান্তের উদ্যোক্তারা এতে অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছেন। হোমমেড খাবার, দেশীয় পোশাক , বিভিন্ন সালাদ আইটেম, লেদার পণ্যসহ দেশের জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত উদ্যোক্তারা এতে অংশ নেন।
গুলশানের বিচারপতি শাহাবুদ্দিন আহমদ পার্কে অনুষ্ঠিত হচ্ছে দুদিনের এই ফেয়ার। ২৭ জুন রাত পর্যন্ত চলবে এই আয়োজন ।
বহু সংকট মোকাবেলায় এমএসএমই শক্তিকে কাজে লাগিয়ে জীবনযাত্রার মান উন্নয়নের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখার আহ্বান জানান ডিএনসিসি এবং ঐক্য ফাউন্ডেশন।