জমকালো আয়োজনে শেষ হয়েছে পাটপণ্যের একক মেলা।রাজধানীর মতিঝিলের করিম চেম্বারে রোববার থেকে শুরু হওয়া পাটপণ্যের একক মেলাটি চলে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত।
জুট ডাইভারসিফিকেশন প্রমোশন সেন্টার (জেডিপিসি) মেলাটির আয়োজনে মোট ৩৩টি স্টলে পাট পণ্যে সেজেছিল এবারের এই মেলাটি। দৈনন্দিন ব্যবহৃত পণ্য, অফিস সরঞ্জাম, বিভিন্ন ধরনের ব্যাগ, পাটের সুতা, নার্সারি পণ্য, হোম টেক্সটাইল, বস্ত্র, বিভিন্ন ধরণের শো-পিস, গৃহস্থালি সামগ্রী ও বাহারি পণ্য স্থান পেয়েছিলো মেলার বিভিন্ন ষ্টলে।
মেলা আয়োজকরা উদ্যোক্তা বার্তাকে বলেন, উদ্যোক্তাদের তৈরি বিশ্বমানের পাট পণ্যের প্রচার, প্রসার এবং পাট পণ্যে ক্রেতাদের আকর্ষণ সৃষ্টির লক্ষেই মূলত এই মেলার আয়োজন।সকল উদ্যোক্তাদের ক্রমান্বয়ে মেলায় অংশগ্রহণের সুযোগ প্রদানের জন্য প্রতি মাসে সম্ভব না হলেও দু্ই মাস অন্তর অন্তর এমন মেলার আয়োজন করা হবে।
মেলায় অংশগ্রহণ করা অনেক উদ্যোক্তারা জানান, শুধু যে পণ্য বিক্রয়ের জন্য তারা মেলায় অংশগ্রহণ করেছে তা নয় বরং পরিচিতি এবং প্রদর্শনী-ই তাদের মূল উদ্দেশ্য। জেডিপিসি’র এমন ধারাবাহিক প্রচেষ্টা যেন অব্যাহত থাকে এবং আরও বিভিন্ন সুযোগ যোগ হবে এমনটায় আশা করেছেন সকলে।
বৃহস্পতিবার মেলার শেষ দিনে ক্রেতা-দর্শনার্থীদের উপস্থিতি ছিলো লক্ষ্যনীয়। সকলেই পাট পণ্যের বৈচিত্র্যতায় মুগ্ধ। মেলায় ঘুরতে আসা রুবিনা ইসলাম উদ্যোক্তা বার্তাকে বলেন, ‘আমি ব্যাংকে চাকরি করি, অফিস শেষে মেলায় এসেছি। পাট দিয়ে তৈরী বিশ্বমানের এতো সুন্দর সুন্দর পণ্য দেখে আমি খুব অবাক হয়েছি। এমন মেলা প্রায় প্রায় আয়োজন করা দরকার তাতে আমাদের দেশের সোনালী আঁশ ফিরে পাবে সেই সোনালী ঐতিহ্য’ ।
২০০২ সালে জেডিপিসি প্রতিষ্ঠার পর থেকে আরো ব্যাপকতর ও বিস্তৃতিকল্পে বহুমুখী পাট পণ্য উৎপাদনে ক্ষুদ্র, মাইক্রো ও তাঁত শিল্পকে সম্পৃক্ত করে বহুমুখী পাটপণ্য উৎপাদনে সহজ প্রযুক্তির ব্যবহার সম্পর্কে গ্রামীণ জনগোষ্ঠিকে ধারণা প্রদান, প্রত্যন্ত অঞ্চলের উদ্যোক্তাদের বহুমুখী পাটপণ্য সামগ্রী উৎপাদনে অনুপ্রাণিতকরণ, কাঁচামাল ব্যাংকের মাধ্যমে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের ন্যায্য মূল্যে প্রয়োজনীয় কাঁচামাল সরবরাহ, বহুমুখী পাটশিল্প উদ্যোক্তা সেবা কেন্দ্রের মাধ্যমে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের ক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র প্রতিষ্ঠানের কারিগরদের দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ প্রদান এবং ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের উৎপাদিত পণ্য বিপণনে সহায়তা প্রদান করে আসছে।
বিপ্লব আহসান