ওয়াহিদা আখতার সুরভী পড়াশোনা করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইনফরমেশন সাইন্স এন্ড লাইব্রেরি ম্যানেজমেন্ট বিভাগে।
ইচ্ছে ছিল চাকরি করবেন অনেক বড় মানুষ হবেন। চাকরিও করেছেন বেশ কিছু স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানে কিন্তু বিয়ের পর আর চাকরী করা হয়নি।
তখন সুরভির মনে হচ্ছিল শুধু শুধু বসে থাকব? না আর চাকরী করতেও ইচ্ছে হচ্ছিল না সুরভীর। স্বামী খায়রুল আনাম খন্দকারের পরামর্শে ব্যবসা শুরু করলেন।
২০১৩ সালে ২০ হাজার টাকা নিয়ে শুরু করেন ব্যবসা এবং প্রতিষ্ঠানের নাম দিলেন “সানভী “।
সানভী নাম দেওয়ার কারণ হিসেবে বলেন স্বামীর ডাক নাম ‘সানী’ এবং আমার সুরভী থেকে ভী’ নিয়ে সানভী আর সানভীর অর্থ হল সৌভাগ্যের প্রসূতি।
সুরভী উদ্যোক্তা বার্তা কে বলেন, ২০১৫ সালে সন্তান সম্ভবা হওয়ার কারণে ব্যবসাটা আর চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়নি। ডাক্তার বেড রেস্টে থাকতে বলেছিল। একসঙ্গে তিন বাচ্চা জন্ম দেওয়ায় । ২০১৮ পর্যন্ত ব্যবসা বন্ধ রাখেন এবং ২০১৯ সালে আবার নতুন করে শুরু করেন।
তিনি বলেন, গ্রাহকের আমার পণ্যের প্রতি এক ধরণের ঝোঁক ছিল যা কিনা আমি সততা, নিষ্ঠা এবং কর্মদক্ষতা দিয়ে অর্জন করেছিলাম, তাইতো তিন বছর পর পুনরায় ব্যবসা চালু করলেও কোনো বেগ পেতে হয়নি বরং গ্রাহকের ভালবাসা পেয়েছি।
সানভীতে পাওয়া যায় মেয়েদর শাড়ী, ব্লাউজ পিস এবং কুর্তী, সালোয়ার কামিজ যার সর্বনিম্ন মূল্য ৫০০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত।
‘সব থেকে বেশি সহযোগিতা পেয়েছেন স্বামী এবং মায়ের কাছ থেকে। মা বলতেন তুমি সব পার! তুমি পারবে বিশ্বাস নিয়ে সামনে যাও’-বলছিলেন সুরভী।
সানভী নিয়ে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথা জানতে চাইলে সুরভী বলেন, ভবিষ্যতে সানভী একটা ব্র্যান্ড হবে। সবাই সানভীকে এক নামে চিনবে, জানবে।
নতুন উদ্যোক্তাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘ইসলামে একটা কথা আছে, যদি মুমিন হও হতাশ হইয়ো না। লেগে থাকতে হবে। ধৈর্য, বিশ্বাস এবং সাহস নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে।’
মো. হৃদয় সম্রাট