কর্মসংস্থান বৃদ্ধি ও নতুন উদ্যোক্তা সৃষ্টিতে বিসিকের কর্মকাণ্ড আরো গতিশীল করতে হবে জানিয়ে পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন দেশের শিল্প উন্নয়নে বিসিকের অবদান অনেক। বিসিকের শিল্পাঞ্চল থেকে অনেক বড় শিল্পপ্রতিষ্ঠানের জন্ম হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাতে উত্তরায় ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট স্কিটি মিলনায়তনে ‘বিসিকের নতুন কর্মকর্তাদের বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ’ শীর্ষক ১৯ দিনব্যাপী এক প্রশিক্ষণ কর্মশালার সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন তিনি।
অনুষ্ঠানে পরিকল্পনা মন্ত্রী বলেন, প্রত্যন্ত অঞ্চল আর সুবিধা বঞ্চিত জনগোষ্ঠির জীবন উন্নয়নে বিসিকের পদক্ষেপ নিতে হবে।
এছাড়া বিসিককে গতিশীল করতে কর্মকর্তাদের আরো পরিশ্রমী এবং নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করার প্রতিও তাগিদ দেন মন্ত্রী। এসময় পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান জানান, বিসিককে সংস্কার করে আধুনিকায়ন করা হবে।
অনুষ্ঠানে বিসিকের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ড. আবদুস ছালাম বলেন, ২০৩০ সালের মধ্যে বিসিকের মাধ্যমে ১ কোটি মানুষের কর্মসংস্থান হবে। তিনি জনান, বিসিক আইন – ২০১৯ খসড়া তৈরী করা হয়েছে, এই আইন প্রণীত হলে বিসিকের কাজের গতি বাড়বে। এছাড়া, সব জেলায় দক্ষতা উন্নয়ন কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করা হবে এবং ক্যামিকেল পার্কগুলো নগরীর বাইরে সরিয়ে নেয় হবে বলেও জানান তিনি।
বিসিকের নতুন কর্মকর্তাদের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য এ প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করে বিসিক ও ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের প্রিজম প্রকল্প।
সমাপনী অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী ২৫ প্রশিক্ষণার্থীকে সনদ প্রদান করা হয়। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব সালাহউদ্দিন মাহমুদ, প্রিজম প্রকল্পের জাতীয় প্রকল্প পরিচালক ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মোঃ মাহবুবুর রহমান, স্কিটির অধ্যক্ষ মোঃ শফিকুল আলম ও প্রিজম প্রকল্পের টিম লিডার আলী সাবেতসহ শিল্প মন্ত্রণালয়, বিসিক, স্কিটি ও প্রিজম প্রকল্পের কর্মকর্তারা।
মোট ৪টি ব্যাচে ১শ জন কর্মকর্তাকে এ প্রশিক্ষণ দেবে বিসিক এবং প্রিজম প্রকল্প।
ডেস্ক রিপোর্ট