শিল্পসচিব মো. আব্দুল হালিম বলেছেন, দেশে পর্যাপ্ত পরিমাণে লবণ মজুদ আছে, কোথাও লবণের ঘাটতি নেই। তাই আসন্ন ঈদুল আজহায় লবণের মূল্য বৃদ্ধি পাবে না।
বুধবার বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশন (বিসিক) আয়োজিত সাভারের হেমায়েতপুরে অবস্থিত চামড়া শিল্পনগরীর প্রকল্প কার্যালয়ে চামড়া শিল্পনগরীর সর্বশেষ অবস্থা এবং দেশে লবণ মজুদ পরিস্থিতি বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।
শিল্পসচিব বলেন, প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের তথ্যানুযায়ী, এ বছর ১ লাখ ১৭ হাজার পশু কোরবানি হতে পারে। বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের তথ্যানুযায়ী, চামড়া সংরক্ষণের জন্য কোরবানির সময় তাৎক্ষণিকভাবে ৮২ হাজার টন লবণ প্রয়োজন হবে এবং বছরের বাকি সময় মোট ১ লাখ টন লবণ প্রয়োজন হবে।
আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ২০১৮-১৯ লবণ মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি রেকর্ড পরিমাণ মোট ১৮.২৪ লাখ টন লবণ উৎপাদিত হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘চাষি, মিল মালিক ও সরবরাহকারীদের কাছে বর্তমান ৯.২২ লাখ টন লবণ মজুদ আছে যা দিয়ে সহজেই নভেম্বর পর্যন্ত লবণের সকল চাহিদা পূরণ করা যাবে। নভেম্বর থেকে চাষিরা লবণ উৎপাদন শুরু করবেন। তাই লবণের কোনো ঘাটতি হবে না।’
তিনি বলেন, ২০২০ সালের জুনের মধ্যে সাভারে অবস্থিত চামড়া শিল্পনগরীর কাজ সমাপ্ত হবে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে শিল্পসচিব বলেন, ২০০ একর জায়গার ওপর চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য সংশ্লিষ্ট লিঙ্কেজ ইন্ডাস্ট্রি স্থাপনের জন্য একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে। এই প্রকল্পের অধীনে একটি ট্রেনিং ইনস্টিটিউট স্থাপন করা হবে।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে সচিব বলেন, লেদার ওয়ার্কিং গ্রুপের মানদণ্ডে ১৬০০টি প্যারামিটার রয়েছে। এর মধ্যে ১০০টি প্যারামিটার কেন্দ্রীয় বর্জ্য শোধনাগার প্লান্ট সংক্রান্ত। চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যের রফতানি বাড়াতে অবশিষ্ট ১৫০০ প্যারামিটার অনুযায়ী চামড়া শিল্পনগরীতে স্থাপিত ট্যানারিগুলোর উৎপাদন প্রক্রিয়ার মান উন্নয়নের প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে। বর্তমানে কেন্দ্রীয় বর্জ্য শোধনাগার প্লান্টে ক্রোম সেপারেশন ও সেডিমেন্টেশনের মান ক্রমশ উন্নত হচ্ছে।
চামড়া শিল্পনগরীর কঠিন বর্জ্য ৩টি স্থানে ডাম্পিংয়ের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে উল্লেখ করে শিল্পসচিব বলেন, চামড়া প্রক্রিয়াজাতকরণের সময় উৎপাদিত সকল বর্জ্যই ক্ষতিকর নয়। ক্রোমিয়াম ব্যবহারের আগ পর্যন্ত উৎপাদিত বর্জ্য নিরাপদ এবং এ সকল বর্জ্য থেকে বিভিন্ন ধরনের গুরুত্বপূর্ণ রাসায়নিক পণ্য উৎপাদনে ব্যাবহার করা যায়। এ সকল ব্যবহারযোগ্য ট্যানারি বর্জ্যকে কীভাবে উৎপাদনশীল খাতে পুনঃপ্রক্রিয়াজাত করা যায়, সে বিষয়ে উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
এর আগে শিল্পসচিব চামড়া শিল্পনগরীতে স্থাপিত কয়েকটি ট্যানারির উৎপাদন কার্যক্রম পরিদর্শন করেন।