দক্ষিণ কোরিয়ার বুসান ইন্টারন্যাশনাল কলেজ, টংমিয়ং বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে আয়োজিত ইন্টারন্যাশনাল ইনোভেশন আইডিয়া কম্পিটিশন-২০২৫ এ প্রথম স্থান অর্জন করেছেন তিন বাংলাদেশি শিক্ষার্থী।
গত ২৭ মে বুসান ইন্টারন্যাশনাল কলেজের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে এক পোস্টের মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
পোস্টে উল্লেখ করা হয়, ইন্টারন্যাশনাল ইনোভেশন আইডিয়া কম্পিটিশন-২০২৫ এ প্রথম স্থান অর্জন করেছে বাংলা নেক্সাস টিম। এই টিমের সদস্যরা— নাহিদ হাসান (টিম রিপ্রেজেন্টেটিভ), আল আমিন ও সোলায়মান সাগর। তারা সবাই টংমিয়ং বিশ্ববিদ্যালয়ের কালচার অ্যান্ড ডিজাইন ম্যানেজমেন্ট বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী। কেবল তিন মাস হলো কোরিয়ায় গেছেন।
বাংলা নেক্সাসের টিম রিপ্রেজেন্টেটিভ নাহিদ হাসান বলেন, দক্ষিণ কোরিয়ায় অনেক ইন্টারন্যাশনাল শিক্ষার্থী কোরিয়ান ভাষা না জানার কারণে জব ক্রাইসিসে পড়ে। তাদের জন্যই আমরা বানিয়েছি “Jabayo” নামের একটি অ্যাপ আইডিয়া। যা নিজের ভাষার দক্ষতা অনুযায়ী চাকরি খুঁজে দিতে সাহায্য করবে। অ্যাপের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা সহজে জব খুঁজতে পারবে, জব শেয়ার করতে পারবে, পুরস্কার পাবে, এমনকি ইন্টার্নশিপ ও ছোট ব্যবসার দিকেও আগাতে পারবে।’
চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় উৎফুল্ল এই দলনেতা বললেন, ” সবচেয়ে আগে আমি আমার প্রিয় আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করি, আলহামদুলিল্লাহ। এই অর্জন শুধুমাত্র আমাদের ব্যক্তিগত সাফল্য নয়, এটা আমাদের প্রিয় দেশ বাংলাদেশের জন্য। সবচেয়ে আনন্দের বিষয় হলো, এই প্রতিযোগিতার ফাইনালে থাকা ৩টি টিমই ছিল বাংলাদেশি, যা আমাদের জন্য বিশাল গর্বের। আমরা দেশের সব মানুষের কাছে দোয়া চাই, যেন ভবিষ্যতেও বাংলাদেশকে আরও বড় পরিসরে বিশ্বের সামনে তুলে ধরতে পারি। আমরা আশা করি আপনারা আমাদের এই এচিভমেন্টটি কভার করবেন, যাতে দেশের বাইরে পড়াশোনা করা সকল বাংলাদেশি ছাত্র-ছাত্রীরা অনুপ্রেরণা পায় এবং বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক মানচিত্রে এক নতুন উচ্চতায় পৌঁছায়। “
বুসান ইন্টারন্যাশনাল কলেজের অফিসিয়াল ফেসবুকে প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের ছবি প্রকাশ করা হয়। সেখানে দেখা যায় ইন্টারন্যাশনাল ইনোভেশন আইডিয়া কম্পিটিশন-২০২৫ প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন থেকে রানার্স আপ সব অর্জনই নিজেদের ঝুলিতে পুড়েছেন বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা। বাংলাদেশে অপর দুই বিজয়ী দলগুলো হলো- এভারগ্রিন এবং সাইন্যাপস স্কোয়াড। এভারগ্রিন দলের সদস্যরা হলেন- গ্লোবাল বিজনেস বিভাগের শিক্ষার্থী রিফাত ইসতিয়াক আহমাদ, ইকবাল ওমায়ের বিন এবং রিফাত জাহিদ হাসান। আর সাইন্যাপস স্কোয়াড সদস্যরা হলেন-মেকাট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ছাত্র জামান ইবনে ফাইয়েজ এবং ইনফরমেশন সিস্টেম অ্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগের শিক্ষার্থী আব্দুল কাইউম, তুহিন মোঃ ফয়জুল ইসলাম এবং শিমুল মোঃ কবির হোসেন মজুমদার।
প্রতিযোগিতায় বিশ্ববিদ্যালয়টিতে অধ্যয়নরত বিদেশী শিক্ষার্থীদের পেছনে ফেলে প্রথম ধাপে ১৭ দলের মধ্যে জায়গা করে নেয় তারা। ফাইনালে কেনো বিদেশী দলই পাত্তা পায়নি তাদের কাছে। প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয় গত ২২ মে। ২৬ মে তারা জানতে পারেন ফাইনালে নেপাল, উজবেকিস্তান এবং আফ্রিকার প্রতিযোগীদের কুপোকাত করে জয়ী হয়েছেন লাল-সবুজের বাংলাদেশের তরুণ শিক্ষার্থীরাই। ২৭ মে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন ইন্টারন্যাশনাল ইনোভেশন আইডিয়া কম্পিটিশনের আয়োজক বুশান ইন্টারন্যাশনাল কলেজের অধ্যাপক। পুরস্কার হিসেবে চ্যম্পিয়ন নেক্সাস দল পেয়েছেন সম্মাননার পাশাপাশি ৫ লাখ কোরিয়ান ওন ।
