ডিজিটাল নিরাপত্তার জন্য আইপিভি ৬ বাস্তবায়নে সরকার বদ্ধপরিকর: মোস্তাফা জব্বার

0

ডিজিটাল নিরাপত্তার জন্য আইপিভি ৬ বাস্তবায়নে সরকার বদ্ধপরিকর। এ জন্য একইসঙ্গে আইপিভি ৪ ও আইপিভি ৬ অ্যানাবল রাউটার আমদানিতে বাধ্যবাধকতা আরোপ করা হয়েছে।

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার মঙ্গলবার (৯ মে) ঢাকার সোনারগাঁও হোটেলে আইএসপিএপি ও বিডিনগ আয়োজিত সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অপারেটরস গ্রুপের সম্মেলন- স্যানোগ ৩৯ ও বিডিনগ এর ১৬তম সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে বিটিআরসি‘র চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মাহবুব-উল-আলম, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো: আবদুর রহিম খান, এপনিক এর মহাপরিচালক পল উইলসন, স্যানগ চেয়ারম্যান রুপেস শ্রেষ্ঠ, বিডিনগ প্রেসিডেন্ট রাশেদ আমিন এবং আইএসপিএবি সভাপতি মো: এমদাদুল হক বক্তৃতা করেন।

অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ডিজিটাল এইজ ডিসি’র হেড অব ইন্টারকানেক্ট ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড অপারেশন রাফেল হো।

মন্ত্রী বলেন, আমরা ডিজিটাল প্রযুক্তির মহাসড়ক নির্মাণে এগিয়ে থাকার পাশাপাশি ডিজিটাল নিরাপত্তা, ডাটা নিরাপত্তা, ব্যক্তি সমাজ ও রাষ্ট্রের ডিজিটাল নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কাজ করছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদুরপ্রসারী ভিশন ও গতিশীল নেতৃত্বের কারণে প্রথাগত সেবা ডিজিটাল সেবায় রূপান্তরিত হচ্ছে। এবারের ঈদে ট্রেনের টিকিট শতভাগ অনলাইনে বিক্রি হয়েছে। ভূমি ব্যবস্থার পূর্ণাঙ্গ ডিজিটাল রূপান্তর হয়েছে। সকলের অংশগ্রহণের মাধ্যমেই এই সব রূপান্তর সম্ভব হচ্ছে। ইন্টারনেট হয়ে উঠেছে জীবনের রসদ।

মোস্তাফা জব্বার বলেন, ২০২৩ সালের মধ্যে এমন কোন ইউনিয়ন থাকবে না যেখানে দ্রুত গতির ইন্টারনেট সুবিধা থাকবে না। আমরা দেশের শতকরা ৯৮ ভাগ অঞ্চলে মোবাইল ফোনের জন্য ফোর জি নেটওয়ার্ক পৌঁছে দিতে সক্ষম হয়েছি। ২০২১ সালে আমরা ৫জি প্রযুক্তি চালু করেছি।

বিটিআরসির চেয়ারম্যান শ্যামসুন্দর সিকদার বললেন,পাঁচ দিনের এই আয়োজন অংশগ্রহণকারীদের দক্ষতা দ্বিগুণ করবে এবং স্মার্ট বাংলাদেশ রূপকল্প বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে কারিগরি সেশনে হারিকেন ইলেকট্রিক এর অনুরাগ ভাটিয়া ওপেন সোর্স সেলফ হোস্টেড ভিপিএন দিয়ে আইপিভি ৬ ডেপ্লয়মেন্টের কৌশল উপস্থাপন করেন।

ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (আইএসপিএবি) ৬ষ্ঠ বারের মতো এই আয়োজন করেছে। সহযোগী হিসেবে ছিল ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়, বিটিআরসি এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আইসিটি বিজনেস প্রমোশন কাউন্সিল (আইবিপিসি)।

সম্মেলনে সংযুক্ত হয়েছে গুগল, আমাজন ওয়েব সার্ভিসেস (এডব্লিউএস), ইন্টারনেট সোসাইটি, সিসকো, এবং এশিয়া প্যাসিফিক নেটওয়ার্ক ইনফরমেশন সেন্টার (এপনিক) এর মতো ইন্টারনেটের শীর্ষস্থানীয় তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান।

বাংলাদেশের ৪ জনসহ ১১জন নেটওয়ার্ক প্রকৌশলীকে সম্মেলনে ফেলোশিপ দেয়া হয়। সম্মেলনের অংশ হিসেবে চার দিন হোটেল ইন্টার কন্টিনেন্টালে চলে নেটওয়ার্ক প্রকৌশলীদের কর্মশালা। দক্ষিণ এশিয়ার ৬টি দেশের ৩০০ প্রকৌশলী অংশ নিয়েছেন এতে।

ডেস্ক রিপোর্ট,
উদ্যোক্তা বার্তা

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here