উদ্যোগের বাগানে একজন কানন

0
উদ্যোক্তা মাকসুদা মোসাব্বির কানন

উদ্যোক্তা মাকসুদা মোসাব্বির কাননের জন্ম এবং বেড়ে উঠা ঢাকায়। এসএসসি মতিঝিল সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে, এইচএসসি সিদ্ধেশ্বরী গার্লস কলেজ, অনার্স-মাস্টার্স জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় এবং TESOL (Teaching English to Speakers of Other Languages) ইংল্যান্ড থেকে।

ছোটবেলা থেকে ইচ্ছা ছিল শিক্ষক হবেন। পড়াশোনা শেষ করেই শিক্ষকতা পেশায় যোগ দিয়েছেন।

পাশাপাশি খাবার তৈরির কাজটি যেহেতু খুব ভালো লাগতো, তাই খাবার নিয়ে তার উদ্যোগ, সঙ্গে আরেক উদ্যোগ পোশাক নিয়ে।

উদ্যোক্তা তার উদ্যোগ সম্পর্কে বলতে গিয়ে জানান: সহকর্মীদের বাসায় দাওয়াত করেছি, সব রান্নাই আমার মা করেছেন, আমি বাকি সব কাজ সামলেছি আর ডেজার্ট আইটেম দইবড়া করেছি। দইবড়া খেয়ে সবাই প্রসংশায় পঞ্চমুখ। এরপর কর্মক্ষেত্রে কোন খাওয়ার আয়োজন হলেই দায়িত্ব পেতাম দইবড়া বানাতে। করোনাকালীন সময়ে সহকর্মী সবার অনুরোধে ভয়ে ভয়ে উদ্যোগ শুরু করলাম এবং ভালো সাড়া পেলাম।

খাবার নিয়ে তার উদ্যোগের নাম Tasty দইবড়া যেখানে আরও পাওয়া যায় বিভিন্ন ধরনের আচার (যার মধ্যে আছে সিলেটের ঐতিহ্যবাহী সুগন্ধি লেবু সাতকড়া, কাঁচা আম, জলপাই, রসুন, বোম্বাই মরিচ, আমলকি, বিলম্বি), পার্টি কেক, জারকেক, কাপকেক, চকলেট, পায়েস এবং টুনা মাছের কাবাব।

খাবার ডেলিভারি নিয়ে কিছুটা প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হতে হয় বলে জানালেন। কারণ খাবার তৎক্ষণাৎ পাঠাতে গেলে চার্জ বেশি, যা কাস্টমার অনেকসময় দিতে চান না। ফ্রিজের খাবার বাইরে বেশিক্ষণ রাখলে নষ্ট হয়ে যায়, তাই বেশি চার্জ দিয়েই ডেলিভারি দিতে হয়। এই চার্জ নির্ধারিত হয় দুরত্ব অনুসারে। তাই দূরে খাবার দেওয়ার আগে ক্রেতার কাছে বিস্তারিত বলে সম্মতি নিয়ে খাবার তৈরি করে পাঠান তিনি।
বর্তমানে তিনি একাই সব কাজ করেন। তবে ভবিষ্যতে কাজের পরিসর বড় হলে কর্মী নেওয়ার পরিকল্পনা আছে।

দেশের ভেতরে সিলেটে আচার, থ্রিপিস এবং রাঙামাটিতে কাপকেক ডেলিভারি দিয়েছেন। দেশের বাইরে ইংল্যান্ড, আমেরিকায় তার উদ্যোগের আচার এবং পোশাক দুটিই গেছে।

পোশাক নিয়ে তার উদ্যোগ Ahnaf’s Collection যে পেইজ তিনি শুরু করেছেন দেশীয় পণ্যের প্রচার এবং প্রসারে নিজেকে যুক্ত করার জন্য ২০২০ সালের জুলাই মাসে।

তিনি আশাবাদী যে তার উদ্যোগ ধীরে ধীরে বড় হবে এবং বিরাট পরিসরে অনেক কর্মী নিয়ে তার উদ্যোগের কার্যক্রম অনেক সুনাম অর্জন করবে।

তরুণ প্রজন্মের জন্য তার পরামর্শ হলো সবসময় একটা প্রফেশনকে নিয়ে চলতে হবে তা নয়। চাইলে একটি চাকরি অথবা কাজের পাশাপাশি উদ্যোক্তা হয়ে উঠা যায়। তাতে করে নিজের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি যেমন আসে, তেমনি আসে মানসিক প্রশান্তি।

মাসুমা শারমিন সুমি
উদ্যোক্তা বার্তা

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here