আমেরিকা-জার্মানিতে উদ্যোক্তা সাকিয়া রশিদের পণ্য

0

উদ্যোক্তা সাকিয়া রশিদ মুন্নি। আর্কিটেকচারে এ ব্যাচেলর করেছেন ২০০৯ এ। ১০ বছর চাকরি করেছেন। ছোটো বেলায় তার গায়িকা হবার ইচ্ছা ছিল।

ইন্টেরিয়ার প্রজেক্ট করার সময় হোম ডেকোর এর প্রোডাক্ট গুলো বাইরে থেকে আমদানি করতে হতো। সেটা অনেক ব্যয়বহুল হয়ে পড়লে সেই ভাবনা থেকেই তার আজকের উদ্যোগ। তিনি মনে করেন যদি দেশেই এই ধরনের জিনিস ডিজাইন করে তৈরি করতে পারেন এবং সবাইকে সাধ্যের মধ্যে ডিজাইন হোম ডেকোর প্রোডাক্টগুলো দিতে পারেন।

২০২০ সালের সেপ্টেম্বর থেকে তার পথ চলা। উদ্যোগ এর পেছনের গল্পে তিনি জানান অন্য দেশ থেকে আমদানি না করে নিজের কাঁচামাল দিয়ে নিজস্ব ডিজাইনে তৈরি করা এবং সবার সাধ্যের মধ্যে রাখতে পারলে এবং সবার মধ্যে একটা আত্নবিশ্বাস তৈরী করা যে বাংলাদেশে এ ধরনের পণ্য তৈরী হচ্ছে।
বাসাবাড়ি, অফিস, ক্লোদিং, রিটেল শপ যেগুলো আছে সেগুলার জন্য উদ্যোক্তাই ডেকোর প্রোডাক্টগুলো ডিজাইন করে থাকেন।

উদ্যোক্তার মতে তিনি খুব একটা বাধার সম্মুখীন হোন নি। কারন তার যে ব্যাকগ্রাউন্ড অর্থাৎ পড়াশোনা , চাকরি কাজের মধ্যেই আছেন এবং সেই মাধ্যমেই কাজ করছেন। তাই খুব একটা বাধার সম্মুখীন তাকে হতে হয়নি।

ডিজাইনের অংশটাতে তিনি একাই কাজ করছেন। তিনি নিজেই ডিজাইন করেন। ডিজাইন করে দেয়ার পর একটা টিম আছে যারা তার লোহার জিনিস গুলো বানানো এবং কাঠের কাজগুলা করেন রঙের কাজগুলা করেন।

সখানে ৮ থেকে ১০ জন এই কাজগুলো করেন। দেশের ভেতরে ঢাকা, ঢাকার বাইরে ও তার প্রোডাক্ট ডেলিভারি হয়ে থাকে। দেশের বাইরে ও তার প্রোডাক্ট গেছে, আমেরিকায়,জার্মানি এই দুই জায়গায় উদ্যোক্তার পণ্য গেছে।

তার উদ্যোগে পরিবারের সাপোর্ট ছিলো সবচেয়ে বেশী।তিনি মনে করেন তিনি পরিবারের সহোযোগিতা তার এগিয়ে চলায় সবচেয়ে বড় ভূমিকা পালন করছে।

ভবিষ্যতের পরিকল্পনায় উদ্যোক্তা সাকিয়া রশিদ বলেন, একজন উদ্যোক্তা চাইলে আমাদের সমাজ,আমাদের দেশকে অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যেতে পারেন। সেই লক্ষ্যেই আমাদের স্পেশালি নারীদের এগিয়ে চলা উচিত।

“আরো নতুন নতুন ডিজাইন করতে চাই,আর্ট ওয়েভের পরিধিকে আরো বাড়াতে চাই।এই সেক্টরে আরও কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হোক সেটা চাই।”

মাসুমা শারমিন সুমি,
উদ্যোক্তা বার্তা

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here