সিএমএসএমই উদ্যোক্তাদের জন্য ঋণ প্রদানের কাঠামোগত সংষ্কার জরুরী

0

কুটির, অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারী (সিএমএসএমই) খাতের উদ্যোক্তা বিকাশের আর্থিক সহায়তা নিশ্চিতকরণের জন্য ঋণ প্রদানের কাঠামোগত সংষ্কার ও বিশেষায়িত ব্যাংক স্থাপন, এসএসই ডাটাবেইজ প্রণয়ন, সহায়ক নীতিমালা প্রণয়ন ও তার যথাযথ বাস্তবায়ন করতে হবে।

পাশাপাশি সিএমএসএমই উদ্যোক্তাদের প্রদত্ত ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল ঋণকে টার্ম লোন হিসেবে গণ্য করার প্রয়োজন।

ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) এবং এসএমই ফাউন্ডেশনের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত ‘এসএমই প্রণোদনা প্যাকেজ হতে ঋণ প্রাপ্তির পদ্ধতি’ শীর্ষক ভার্চুয়াল মতবিনিময় সভার আলোচকরা এমন অভিমত ব্যক্ত করেন।

সভায় এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারপার্সন অধ্যাপক ড. মো. মাসুদুর রহমান প্রধান অতিথি ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মো. মফিজুর রহমান বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে ঢাকা চেম্বারের সভাপতি রিজওয়ান রাহমান বলেন, শিল্পখাতে ৮০ শতাংশ কর্মসংস্থান সৃষ্টির পাশাপাশি ম্যানুফ্যাকচারিংখাতের ৪৫ শতাংশ মূল্য সংযোজন করে সিএমএসএমই খাত, তবে প্রয়োজনীয় আর্থিক এবং নীতিগত সহায়তার অভাবে সিএমএসএমই প্রতিষ্ঠানসমূহ তাদের সম্ভাবনা ও কর্মদক্ষতার পুরোপুরি কাজে লাগাতে পারছে না।

তিনি বলেন, করোনা প্রাদুর্ভাব মোকাবেলায় দেশে দীর্ঘমেয়াদে ছুটি এবং লকডাউনের ফলে সিএমএসএমই খাত ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাগণ প্রণোদনা প্যাকেজের আওতায় ঋণ পাওয়াসহ অন্যান্য নীতিগত সহায়তা পাওয়ার ক্ষেত্রে মাঝারি ও বৃহৎ শিল্পোদ্যোক্তাদের থেকে পিছিয়ে আছেন।

অধ্যাপক ড. মো. মাসুদুর রহমান বলেন, ব্যবসায়িক সাফল্যের পাশাপাশি প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার জন্য এখাতের উদ্যোক্তাদের অবশ্যই দেশের বিদ্যমান আইনী ও আর্থিক কাঠামো সম্পর্কে সম্যক ধারণা গ্রহণের কোন বিকল্প নেই। উদ্যোক্তাদের আর্থিক সহায়তা নিশ্চিতকরণে ঋণ প্রদানের কাঠামোগত সংষ্কার আনা একান্ত আবশ্যক।

তিনি এলডিসি পরবর্তী চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা, দেশে ব্যবসা পরিচালন সূচকে উন্নয়ন ও বিনিয়োগ আকর্ষনে বিদ্যমান কর এবং শুল্ক কাঠামোর পরিবর্তন আনার আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, সরকার ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজের আওতায় ঋণ সহায়তা প্রদান কার্যক্রমে সফলতা অর্জনে প্রয়োজনীয় সংষ্কার ও সংস্থা সমূহের দক্ষতা বাড়ানো একান্ত অপরিহার্য।

অনুষ্ঠানে এসএমই ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মো. মফিজুর রহমান বলেন, মাত্র দেড় মাসেই শুধুমাত্র এসএমই উদ্যোক্তাদের মাঝে ১২২ কোটি বিতরণ করা সম্ভব হয়েছে, এসএমই ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে সরাসরি ঋণ প্রদান করা সম্ভব হলে, এখাতের উদ্যোক্তাদের আরো কার্যকর ভাবে ঋণ সহায়তা প্রদান সম্ভপর হতো। এখাতের উদ্যোক্তাদের সহায়তা নিশ্চিতকরণে তিনি দেশে একটি বিশেষায়িত এসএমই ব্যাংক স্থাপনের প্রস্তাব করেন।

অনুষ্ঠানে এসএমই ফাউন্ডেশনের সহকারী মহাব্যবস্থাপক সুমন চন্দ্র সাহা মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। এতে অন্যান্যের মধ্যে ডিসিসিআই ঊর্ধ্বতন সহসভাপতি এন কে এ মবিন, পরিচালক খায়রুল মজিদ মাহমুদ, মো রাশেদুল করিম মুন্না প্রমূখ বক্তব্য রাখেন।

উদ্যোক্তা বার্তা রিপোর্ট

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here