মা ও শিশুর সুরক্ষায় দেশেই বিশ্বমানের ডায়পার তৈরি করছেন উদ্যোক্তা আলাউদ্দিন রাসেল

0
আলাউদ্দিন রাসেল

কর্মজীবন শুরু করেছিলেন ২০০৪ সালে। উদ্যোক্তা দেশের বাইরে বিভিন্ন মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিতে চাকরি করেছেন। ভালো বেতন এবং জীবিকার নিশ্চয়তা থাকার পরও চাকরিজীবন কখনো টানেনি উদ্যোক্তা আলাউদ্দিন রাসেল-কে।

দীর্ঘদিন চাকরি করার পর কিছু পুঁজি আর অভিজ্ঞতা অর্জন করে স্বপ্ন বাস্তবায়নের কাজে লেগে পড়েন। যেহেতু উদ্যোক্তা জীবন বেছে নিয়েছিলেন, তাই উদ্যোগের বিষয়ে ট্রেনিংগুলো খুবই প্রয়োজনীয় মনে করেন তিনি। তখন পরিচিত একজনের মাধ্যমে ইএসডিপি ট্রেনিংয়ের বিষয়ে জানতে পারেন এবং নারায়ণগঞ্জ জেলার অফিসে যোগাযোগ করেন। ১৫ দিনের কোর্সটি সুন্দরভাবে সম্পন্ন করে নিজস্ব বিনিয়োগ পরিকল্পনা লিখিত আকারে তৈরি করেন।

আলাউদ্দিন রাসেল বলেন, ‘এই কোর্সের মাধ্যমে বিনিয়োগ পরিকল্পনা সম্পর্কে আমার প্রথম ধারণা তৈরি হয়। এছাড়াও একটি কারখানা চালাতে যে সমস্ত বিষয়গুলো জরুরি যেমন: ভ্যাট-ট্যাক্স, পরিবেশ অধিদপ্তর, ভোক্তা অধিকার, ট্রেড লাইসেন্স, ট্রেডমার্ক সহজেই প্রাপ্তির নিয়ম-কানুন, এক্সপোর্ট-ইমপোর্ট ও অন্যান্য অনুমতিপত্রের প্রয়োজনীয় জিনিস যা আমি এই ট্রেনিংয়ের মাধ্যমে শিখতে পেরেছি’।

মেন্টারিংয়ের মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যবসায়ীসহ চেম্বার অব কমার্সের সাথে যোগাযোগ সহজতর হয়েছে।
ইএসডিপি ট্রেনিংয়ের পর আলাউদ্দিন রাসেল নতুন একটি গার্মেন্টস পণ্য নিয়ে কাজ করতে আগ্রহী হন। বর্তমানে তিনি বেবি ক্লথ ডায়াপার উৎপাদন করছেন। ‘কিডস কেয়ার’ নাম দিয়ে প্রতিষ্ঠানের নিবন্ধন করেছেন।

উদ্যোক্তা আলাউদ্দিন রাসেল জানান, ‘কিডস কেয়ার’ বাংলাদেশে প্রথম ক্লথ ডায়াপার ব্র্যান্ড নিয়ে কাজ করছে। ভবিষ্যতে আরো নতুন ক্যাটাগরির পণ্য বাজারে আসবে। ৩ লাখ টাকা বিনিয়োগ এখন বৃদ্ধি পেয়ে ৬ লাখ হয়েছে’। এছাড়া তার প্রতিষ্ঠানে বহু বেকার যুবকের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে।

তিনি যে কোয়ালিটির ওয়াশেবল ডায়পারটা তৈরি করেন সেটার সাথে একটা প্যাডই থাকে। যা তিন লেয়ার এর ভারি প্যাড। বাজারের অন্যান্য সস্তা প্যাড-এর মতো নয়। ডায়পার কভার এবং ডায়পার প্যাড ২ টাই যতোবার ইচ্ছা ওয়াশ করা যাবে। একটা কাঁথা যেমন বার বার ওয়াশ করা যায়, ঠিক ওয়াশেবল ডায়পারও বারবার ওয়াশ করা যায়। একেক বেবির হিসু করার পরিমাণ একেক রকম, তাই কতোক্ষণ পরিয়ে রাখা যাবে সে সম্পর্কে ঠিক ভাবে বলাটা কঠিন। তবে ছোট বেবিদের ক্ষেত্রে বেশ কিছুক্ষণ পরিয়ে রাখা যাবে। যে ওয়াশেবল ডায়পারটা তিনি বিক্রি করেন তা ফ্রি সাইজের, এতে এডজাস্টেবল বাটন রয়েছে। ডায়পারটা নিউবর্ন থেকে ৩ বছররের বেবির জন্য। ওয়াশেবল ডায়পার বেবিকে নরমাল প্যান্টের মতো করে পরানো যাবে। পরানোর সময় ভিতরে প্যাড দিতে হবে এবং এডজাস্টেবল বাটনের সাহায্যে এডজাস্ট করে নিতে হবে বেবির কোমরে। ওয়াশেবল ডায়পারের সাথে তার কোম্পানি এক্সট্রা প্যাড দিয়ে থাকে। যাতে পাতলা কাঁথা বা একটা মোটা টাওয়েলকে প্যাডের সাইজে কেটে ডায়পার প্যাড হিসাবে ব্যাবহার করা যাবে।

উদ্যোক্তা পরিশেষে বলেন, ‘আমার মতো একজন নতুন উদ্যোক্তার পাশে ইএসডিপি’র মতো প্লাটফর্ম থাকাটা অত্যন্ত জরুরি। আমাদের যে কোন সমস্যায় ইএসডিপি পাশে থাকে। পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট সকলকে আমার পক্ষ থেকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই’।

মেহনাজ খান
উদ্যোক্তা বার্তা, ঢাকা

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here