নতুন প্রজন্মের কাছে আবহমান বাংলার পিঠা পুলির পরিচয় করে দিতেই নওগাঁয় আয়োজন করা হলো পিঠা উৎসব। পিঠার কদর ও ঐতিহ্য তুলে ধরতে নওগাঁর মান্দার কালিগ্রামে শুক্রবার দুপুরে (২৫ ডিসেম্বর) শুরু হয়েছে দুই দিন ব্যাপী পিঠা উৎসব।

বাঙালির হারানো সংস্কৃতি, বাংলার রসনা বিলাস পিঠা গুলো তরুণ প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতেই তৃণমূল পর্যায়ে উদ্যোক্তারা নিজেদের তৈরি পিঠা বড় পরিসরের এ মেলায় তুলে ধরতে পেরে গর্বিত।

পাতা কুঁড়ি ,পাতা পিঠা, চিতই, ভাপা, নুনিয়া, নারিকেলের পিঠা, গোকুল পিঠা, দুধপুলি, গাজরের পিঠা, পাকান, নকশী, দুধ চিতইপুলি, ভাপা, পাঠি সাপটা, পাকান, দুধ ও রস পিঠাসহ নানা ধরনের পিঠার পসরা সাজিয়ে বসেছিলেন উদ্যোক্তারা। সাথে ছিল আধুনিক যুগের নামকরন- হৃদয় হরণ, ফুলঝুরি, লাভ, গোলাপ পিঠাসহ নানা ধরনের পিঠা। উদ্যোক্তারাই নাম দিয়েছে এসব পিঠার।

পিঠা উৎসবে ঢল নেমেছিলো তরুণ-তরুণী থেকে শুরু করে নানা শ্রেণি পেশার মানুষের। কেউ এসেছিলেন বাংলার ঐতিহ্যবাহী সব পিঠার সাথে পরিচিত হতে আবার কেউ এসেছিলেন পিঠার স্বাধ নিতে।গ্রামের ক্ষুদ্র নারী উদ্যোক্তাদের স্বাবলম্বী করতেই সৃজনশীল পিঠা উৎসবের আয়োজন বলে জানান আয়োজকরা।

পিঠা উৎসবের আয়োজক মো. জাহাঙ্গীর আলম শাহ বলেন, ‘সর্বোচ্চ স্বাস্থ্যবিধি মেনে এই পিঠা উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। এই উৎসবের মূল উদ্দেশ্য পিঠা তৈরিতে মানুষকে উৎসাহিত করা এবং নতুন প্রজন্মের কাছে আবহমান বাংলার পিঠা পুলি পরিচয় করিয়ে দেয়া।’

মেলায় ঐতিহ্যবাহী বাঙালির রসনা বিলাস পিঠার ২৪ টি স্টলে ৪৫ রকম পিঠা প্রদর্শিত হচ্ছে।

ডেস্ক রিপোর্ট, উদ্যোক্তা বার্তা

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here