শিশুরা ভীষণ কৌতুহলী, কর্মঠ এবং প্রতিভা সম্পন্ন। হ্যাঁ, সব শিশুরাই! তা সত্বেও, বাংলাদেশের প্রায় ৩০ লক্ষ ছেলে মেয়েরা তাদের দক্ষতা এবং সৃজনশীলতা বিকাশের সুযোগ থেকে বঞ্চিত। এরা দরিদ্র পরিবারের সন্তান। শিহরন উদ্যোগ নিয়েছে দারিদ্র্য ও অবিচারের বিরুদ্ধে লড়াই করার। অতি দরিদ্র এবং অবহেলিত গোষ্ঠীর পরিবারের শিশুরা যারা মূলত অসহায়, অবহেলিত পথ শিশু। এসব অতি দরিদ্র এবং অবহেলিত গোষ্ঠীর পরিবারের শিশুদেরকে সমান শিক্ষার সুযোগ তৈরি করে দিতে হবে। ভালো ভবিষ্যতের লক্ষ্যে ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করতে হবে। সেই সাথে শিক্ষা গ্রহণের মৌলিক অধিকার সুনিশ্চিত করণ।

সমাজের সকল স্তরে পথশিশুদের অধিকার, দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে দেশের জনগণকে সজাগ করে তুলতে হবে, চিন্তা করতে হবে স্থায়ী সমাধানের। উপযুক্ত শিক্ষা প্রদানের মাধ্যমে তারা যেন আত্মনির্ভরশীল মানুষ হিসেবে নিজেকে গড়ে তুলতে পারে সে ব্যাপারে সুনাগরিক হিসেবে সবাইকে সচেষ্ট হতে হবে। আলোকিত বাংলাদেশ গড়তে অবশ্যই পথশিশুদের জন্য মৌলিক অধিকারের সুযোগ সৃষ্টি করে দিতে হবে। স্মরণ রাখতে হবে, জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সব শিশুর রয়েছে সমান অধিকার।

শিহরন নির্বাহী প্রধান ও সম্মানিত উদ্যোক্তা সাইফুল ইসলাম বলেন- ‘আসলে এককভাবে বড় কিছু সম্ভব হয়না, আমাদের বড় বড় স্বপ্নগুলো পূরণে দরকার সমাজের সর্বস্তরে সবার সহযোগিতা। সেচ্ছাসেবী কাজটি এক অর্থে কষ্টের আরেক অর্থে আনন্দের। সামাজিক দায়বদ্ধতা ও শিশুদের জন্য নিরাপদ পরিবেশ সৃষ্টি ও তাদের সুস্থভাবে বেড়ে ওঠা নিশ্চিত করতে শিহরন পরিবারের পাশে সমাজের সকলকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।

মানুষের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ, ভালোবাসা ও সহমর্মিতার হাত বাড়িয়ে দিয়ে মানবতার দৃষ্টান্তমূলক উদাহরণ শিহরন পরিবার। যারা স্বইচ্ছায় সামাজিক দায়বদ্ধতার কথা ভেবে শিহরন পরিবারের পাশে থাকছেন তারাই শিহরন এর প্রাণ।

শিহরন- “শিশুর হাসি রাখিব নির্মল” এই প্রচেষ্টার মাধ্যমে সুবিধাবঞ্চিত বা পথশিশু শব্দটি বিলুপ্ত হয়ে যাক। ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন পূরণ করতে হলে এ পথশিশুদের মূল্যায়ন অবশ্যই করতে হবে।

ডেস্ক রিপোর্ট, উদ্যোক্তা বার্তা

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here